রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনের দাবি নতুন নয়। উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল এজন্য। তবে সেই পরিকল্পনা ছিল ফাইলবন্দি। ফাইনাল থেকে বিপিএল রাজশাহীর মাঠে নিতে আবারও উদ্যোগী হয়েছে বিসিবি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সিরিজে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তাদের এমন আগ্রহে নতুন করে আলোচনায় আনে রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনের বিষয়টি। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল রাজশাহী সফরে আসেন। বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পিচ ও আউটফিল্ড দেখে রাজশাহীতেই বিপিএলের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহনিয়ান তানিম, পরিচালক (অডিট) মোখলেসুর রহমান শামীম, এইচপি বিভাগের চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট পুরো স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের আবাসন, অনুশীলন মাঠ ও আশপাশের আনুষঙ্গিক সুবিধাও দেখেন তানিম-শামীম-পাইলটরা।

ফ্যাসিলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহনিয়ান তানিম এরপর গণমাধ্যমে বলেন, ‘‘রাজশাহী স্টেডিয়ামের ৭০ ভাগ সক্ষমতা রয়েছে। আগামী এক মাসে বাকি অংশের উন্নয়ন শেষ করতে চাই আমরা। এরপর সমন্বয় সভায় প্রতিবেদন পর্যালোচনা হবে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পেলে সংস্কার ব্যয় ও সময়সূচি নির্ধারণ করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।’’
উন্নয়নের পরিকল্পনায় রয়েছে ১২০ আসনবিশিষ্ট আধুনিক প্রেস গ্যালারি, ধারাভাষ্যকার বক্স, সম্প্রচার স্টুডিও, স্কোর রুম, দুটি রেডিও রুম, ডাউনলিংক রুম, ব্রডকাস্ট পিসিআর, প্রেস ও সম্প্রচার ডাইনিং, জায়ান্ট স্ক্রিন স্থাপন, ২০টি মোবাইল টয়লেট, গ্যালারির টয়লেট সংস্কার, সার্কুলার রোড উন্নয়ন এবং পুরো স্টেডিয়াম নতুন করে রঙের কাজ। খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম নিচতলায় স্থানান্তর ও ফ্লাডলাইট সংস্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এই অল্প সময়ে এত বেশি কাজ কী করতে পারবে বিসিবি? সেটা সম্পন্ন হলেই কেবল সম্ভব এবারের বিপিএলের কিছু ম্যাচ রাজশাহীতে আয়োজন করা।



