Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাম মন্দিরে উপহারের ঢল

মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো উপহার।
মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো উপহার।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের উৎসবে নেমেছে উপহারের ঢল। হিন্দু দেবতা রামকে উৎসর্গ করতে সোনার চুড়ি থেকে শুরু করে ৫৬ রকমের পিঠা, কী নেই উপহারের তালিকায়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ধনীরাও পাঠাচ্ছেন এসব উপহার।

সোমবার মন্দির প্রতিষ্ঠার আয়োজনে সবাই সামিল হতে চাইছেন যার যার সাধ্য থেকে।

বহুল বিতর্কিত এই স্থানে মন্দির নির্মাণ উদ্বোধনের ঘটা নিয়ে ইকোনমিক টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে উপহারের তালিকা ও কারা এসব পাঠিয়েছেন তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ইকোনমিক টাইমস বলছে, ইতোমধ্যেই মন্দিরে এসেছে লোহা ও তামায় তৈরি ৫০০ কেজি ওজনের ঢাক, বিশালাকার ধনুক, চাল, লাড্ডু ও সবজি।

সোনা দিয়ে বানানো রাম মন্দিরের প্রতিলিপি

এর বাইরে মন্দিরে অর্থ পাঠাচ্ছেন অনেকেই। এই তালিকায় আছেন গুজরাটের গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া (১১ কোটি রুপি), মহেশ কবুতরওয়ালা (৫ কোটি), মাত্রুশ্রী কানকুবা ফাউন্ডেশনের লাভজি বাদশা (১ কোটি), চেন্নাইয়ের ডব্লিউএস হাবিব (১ লাখ) এবং আদিত্য মিত্তাল (২৫ লাখ)।

রাম মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটি আরও অনেক উপহার পেয়েছে। এর মধ্যে আছে, ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি, ২৪০০ কেজি ওজনের ঘণ্টা, ১১০০ কেজি ওজনের প্রদীপ, সোনার জুতা, ১০ ফুট উঁচু তালা ও চাবি এবং আটটি দেশের সময় দেখায় এমন ঘড়ি।

রামের স্ত্রী সীতার কল্পিত জন্মভূমি নেপালের জানকপুর থেকেও ৩ হাজারের বেশি উপহার পৌঁছেছে অযোধ্যায়। এসবের মধ্যে আছে রুপার জুতা, গয়না ও পোশাক। ৩০টি গাড়িতে করে জানকপুর ধাম রামজানকি মন্দির থেকে এসব উপহার পাঠানো হয়।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার একটি প্রতিনিধিদল অশোকবাটিকা থেকে বিশেষ উপহার নিয়ে এসেছে। রামায়নের বর্ণনা অনুযায়ী, এই অশোকবাটিকা বাগানেই সীতাকে বন্দি রেখেছিলেন রাবন।

মন্দিরের জন্য সত্য শর্মার দেওয়া ৪০০ কেজি ওজনের তালা-চাবি

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের একটি নার্সারি থেকে ১০ হাজার করে বোগানভেলিয়া ফুলের দুটি চালান এসেছে। এই ফুল মন্দির প্রাঙ্গণ সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হবে।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব গত শুক্রবার উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে তৈরি পাঁচ লাখ লাড্ডু বহনকারী পাঁচটি ট্রাক পাঠিয়েছেন। লাড্ডু প্রতিটি প্রায় ৫০ গ্রাম ওজনের। পুরো চালানটি ২৫০ কুইন্টালের। এছাড়াও ২২ জানুয়ারি ছিন্দওয়ারা থেকে ৪ কোটি ৩১ লাখ বার ‘শ্রী রাম’ লেখা কাগজ পাঠানো হবে।

হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী যে মথুরার শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থান, সেখান থেকে আসছে ২০০ কেজি লাড্ডু, তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির দিচ্ছে ১ লাখ লাড্ডু। নাগপুরের রন্ধনশিল্পী বিষ্ণু মনোহর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথিদের জন্য ৭ হাজার কেজি ‘রাম হালুয়া’ পাঠাচ্ছেন।

ফিরোজাবাদ থেকে ১০ হাজারের বেশি চুড়ি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। এগুলো হিন্দু ও মুসলিম শ্রমিকদের মাসের পর মাস পরিশ্রমের ফসল। চুড়িতে শ্রী রাম, দেবী সীতা ও হনুমানের ছবি রয়েছে।

উপহারের মধ্যে আরও আছে আগ্রার বিখ্যাত ৫৬ রকমের পিঠা, রত্নখচিত পোশাক ও রুপার প্লেট, কনৌজের বিশেষ সুগন্ধি, আতর শামামা এবং ২৪০০ কেজি ওজনের ঘণ্টা।

ঐতিহ্যবাহী উপহারের মধ্যে আছে, গুজরাট থেকে ৫০০ কেজি ওজনের নাগাড়া (ঢাক), কেরালার পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের ‘অনভিল্লু’ (ধনুক)। অযোধ্যার আম্বা রাম মন্দিরও আড়াই কেজি ওজনের একটি ধনুক দিচ্ছে।

কেরালা থেকে পাঠানো ‘অনভিল্লু’ ।

গত মাসে ৩০০ টন চাল পাঠানোর পর, ছত্তিসগড় থেকে আবারও দুটি সবজিভর্তি ট্রাক আযোধ্যায় গেছে। গত সপ্তাহে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল আহমেদাবাদে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের জন্য একটি ৪৪ ফুট লম্বা পিতলের পতাকা দণ্ড উদ্বোধন করেছেন।

ভারতের বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র সুরাট থেকে একটি বিশেষ শাড়ি অযোধ্যায় পাঠানো হবে। শাড়িতে রাম এবং মন্দিরের ছবি আছে। এটি সীতাকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

একজন হীরা ব্যবসায়ী একটি হার তৈরি করেছেন, যাতে ৫ হাজার আমেরিকান হীরা ও ২ কিলোগ্রাম রুপা ব্যবহার করা হয়েছে। ৪০ জন শিল্পী ৩৫ দিনে হারটি তৈরি করেছেন। এটি রাম মন্দির ট্রাস্টকে উপহার দেওয়া হয়েছে।

মোদীর জন্মস্থান গুজরাটের ভাদোদরার কৃষক অরবিন্দভাই মঙ্গলভাই ১১০০ কেজি ওজনের একটি বিশালাকার প্রদীপ দিয়েছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত