রমজান মাসে আমিষের চাহিদা পুরণে সুলভ মূল্যে গরু ও খাসির মাংস, মুরগি, ডিম ও দুধ বিক্রি শুরু করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
এ কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকা (প্রতি পিস ৯ টাকা ১৭ পয়সা), তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা করে বিক্রি হবে।
রবিবার ঢাকার ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ঢাকার ৩০টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি হবে। প্রথম রমজান থেকে শুরু করে ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।
ঢাকার ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে নিয়মিত এই পণ্যগুলো বিক্রি হবে। এছাড়া স্থায়ী বাজারসহ আরও ৫টি স্থানে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ঢাকার বাইরে বিক্রির উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানান তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতি গাড়িতে থাকবে ২০০ লিটার দুধ, ৪ হাজার পিস ডিম, ১০০ কেজি গরুর মাংস, ১০ কেজি খাসির মাংস। এছাড়া রাজধানীর ৮টি জায়গায় মাছ বিক্রি করা হবে। প্রতি গাড়িতে ৩০০ কেজি করে মাছ থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো: নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) ও কাকরাইল।
স্থায়ী বাজার: মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ ভ্যান (কুলারভ্যান) ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলারভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি চলবে।