বিসিবির ফেসবুক পেজে তার ভিডিও দেখে মনে হলো টেস্টে প্রথম ৫ উইকেট খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখালেন না। কিন্তু কীর্তির হাসি তো আর লুকিয়ে থাকে না। ইনিংস বিরতিতে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে নাহিদ রানার হাসি গর্বের কথা বলে দেয়। বলটি হাতে নিয়ে জ্যামাইকার গুটি কয়ের দর্শকের দিকে তুলে ধরছিলেন সগৌরবে।
নাহিদ রানার কীর্তিটাই গৌরব মাখা। উইন্ডিজ থেকে একটা সময় কিংবদন্তী পেসাররা উঠে এসেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কোন পেসার সেই মাটিতে কীর্তি মাখা কিছুই করতে পারেননি। তাসকিন আহমেদ-নাহিদ রানারা সেই অভাব মেটালেন এই সফরে।
এবার আরও বিশেষ কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। উইন্ডিজে তাদের সেরা দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়। তাসকিন-নাহিদদের হাত ধরে তা হতেই পারে। নাহিদ নিজেই জানালেন কিভাবে তা হতে পারে।
বিসিবির ফেসবুক পেজে এই পেসার বলেছেন, “এ উইকেটে বেশি কিছু চেষ্টা করতে হবে না। বোলারদের অনেক কিছু করা লাগে না। ব্যাটাররাই দেখা যায় অনেক কিছু চেষ্টা করে (ভুল করে)। লাইন টু লাইন বল করলে এমনেই সাফল্য আসবে।”
উইন্ডিজ ব্যাটারদের ভুল সাফল্য পথ দেখাবে বাংলাদেশকে। নাহিদ রানাও সেই বিশ্বাস রাখেন, “আমরা এখন ভালো জায়গায় আছি, এখান থেকে যদি ২৫০ রানের ওপরে যেতে পারি, চার নম্বর দিনে উইকেট কঠিন হবে, বাউন্স অসমান থাকবে, স্পিনাররা টার্ন পাবে, চার নম্বর দিন থেকে ভালো কিছু একটা পাব ইনশা আল্লাহ।”
জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার আন্দ্রে অ্যাডামস চরম সত্যিটা বললেন, “আপনি যখন ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করবেন, উইকেট পাবেনই। আমাদের ওকে দেখে শুনে রাখতে হবে। এ কারণেই ও প্রথম ম্যাচে খেলেনি। ভাগ্য ভালো যে ওর আশপাশে তাসকিন ও হাসানের মতো পেসার আছে, যারা মাঠে ওর মনোযোগ ঠিক রাখতে সাহায্য করছে।”