Beta
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

পাহাড়ে সহিংসতার কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের কমিটি

rangamati clash
[publishpress_authors_box]

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনার কারণ খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার।

সাত সদস্যের এই তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরল্লাহ নূরীকে। কমিটিতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রয়েছেন সদস্য হিসেবে।

বৃহস্পতিবার গঠন করা তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনায় সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তবে এই তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে স্বাধীন ও অবাধ তদন্তের দাবি জানিয়েছে দলটি।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে জেলা সদরে রাতভর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বিকালের সংঘর্ষ ও রাতের গোলাগুলির ঘটনায় প্রাণ হারায় তিনজন।

দীঘিনালার ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর সকালে রাঙ্গামাটি শহরে মিছিল বের করে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। মিছিল থেকে ‘ইটপাটকেল ছোঁড়া’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কিছু যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবারের ওই সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত ও দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’। অন্যদিকে, সংঘর্ষের মধ্যে গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানোর প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে ডাকা হয় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।

পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। ধীরে ধীরে তোলা হয় অবরোধ কর্মসূচি ও পরিবহন ধর্মঘট। এরপর এ ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সই করা অফিস আদেশে তদন্ত কমিটিকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে হওয়া সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান; ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির কথা নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্ত করে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহসভাপতি নূতন কুমার চাকমা বলেন, একতরফাভাবে তদন্ত কমিটি গঠন লোক দেখানো। এই কমিটির প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা দেশের জনগণের কোনও আস্থা নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান বাস্তবতায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ও অংশগ্রহণে তদন্ত ছাড়া হামলার প্রকৃত কারণ ও অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত