টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু।
শুক্রবার সকাল থেকে হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ‘রাঙ্গামাটির সিম্বল’ হিসেবে পরিচিত এই সেতুর ওপর দিয়ে পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পর্যটন সেতু কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নিচে চলে যায় সেতুর পাটাতন। এরপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুতে পর্যটক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় সেতুতে প্রবেশ টিকিট বিক্রিও।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের তথ্যমতে, কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল)। ১০৫ এমএসএল পানি হলেই ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৬ দশমিক ০৬ এমএসএল।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, সেতুটি ডুবে যাওয়ায় দর্শনার্থীদের চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি কমে গেলে আবারও দর্শনার্থীদের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে।
১৯৮৩ সালে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের তবলছড়ি এলাকায় দুই দ্বীপের মধ্যে সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। এটি দেশে ও বিদেশে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ হিসেবে খ্যাত ।
কাপ্তাই হ্রদের স্বাভাবিক জলসীমার নিচে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় প্রতিবছরই হ্রদে পানি বাড়লে ডুবে যায় সেতুটি। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সেতু উপরে উঠানোর সুযোগ নেই। সেতুটি উঁচু করতে চাইলে নতুন করে তৈরি করতে হবে।