Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

প্রায় ২ মাস পর খুলছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

Rangamati Hanging Bridge News Pic (1)
[publishpress_authors_box]

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ডুবে যাওয়ার ১ মাস ২৫ দিন পর দেখা গেল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু।

পাটাতন থেকে পানি সরে যাওয়ায় প্রায় দুই মাস পরে আবার শুরু হচ্ছে ‘রাঙ্গামাটির সিম্বল’ হিসেবে পরিচিত এই সেতুতে প্রবেশের টিকিট বিক্রি।

বৃহস্পতিবার সকালে ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে যাওয়ার কথা জানান রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা।

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে গেছে। এখন আমরা সেতুর পাটাতনসহ অন্যান্য মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে শুক্রবার থেকে সেতুতে প্রবেশ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।”

সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনায় ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে পর্যটকদের বিরত থাকার অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন। সে কারণে এখন মূলত পর্যটকশূন্য তিন জেলা।

সে বিষয়ে আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলার বাইরের পর্যটকরা না এলেও ঝুলন্ত সেতুতে যেন স্থানীয়রা প্রবেশ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

গত ২২ আগস্ট মধ্যরাতের দিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নিচে চলে যায় সেতুর পাটাতন। এরপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুতে পর্যটক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় সেতুতে প্রবেশ টিকিট বিক্রিও।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বড় কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল)। ১০৫ এমএসএল পানি হলেই ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।

১৯৮৩ সালে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের তবলছড়ি এলাকায় দুই দ্বীপের মধ্যে সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। এটি দেশে ও বিদেশে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ হিসেবে খ্যাত।

কাপ্তাই হ্রদের স্বাভাবিক জলসীমার নিচে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় প্রতিবছরই হ্রদে পানি বাড়লে ডুবে যায় সেতুটি। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সেতু উপরে উঠানোর সুযোগ নেই। সেতুটি উঁচু করতে চাইলে নতুন করে তৈরি করতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত