রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালংয়ে দুই কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে ও ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে আগামীকাল বুধবার সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বাঘাইছড়ি ইউনিট মঙ্গলবার দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
গত রোববার ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফকর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের কফিন নিয়ে মৈত্রীপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পিসিপি, নারী সংঘের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নিহত দুইজনের পরিবারের সদস্যরা কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে নিহতদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।
ইউপিডিএফ নেতা অডিট চাকমা বলেন, “আশিষ ও দীপায়ন চাকমা জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের স্বার্থে লড়াই-সংগ্রাম করে শহীদ হয়েছেন, জাতি তাদের কখনও ভুলতে পারবে না।”
সমাবেশ থেকে ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বুধবার সাজেকের পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাচালংয়ে জোড়া খুনের জন্য প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করলেও জেএসএস অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তেদের হামলায় ইউপিডিএফের ছয় নেতাকর্মী নিহত হন। সর্বশেষ রাঙামাটিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি খুন হয়েছেন দুইজন। এ নিয়ে দুই মাসে ইউপিডিএফের আট নেতাকর্মী খুন হলেন।