চার মাসের জ্বালানি তেলের দাম বাকি পড়ে যাওয়ায় তেল সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পাম্প। এতে বিপাকে পড়ে পরিষদের যানবাহন ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
চারতলা বিশিষ্ট জেলা পরিষদ ভবনে গিয়ে দেখা যায় নিচতলায় পরিষদের যানবাহন রাখা হয়েছে, ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে সেসব। কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশে লেখা আছে, “জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় সকলকে পরিষদের যানবাহন ব্যবহারে বিরত থাকার অনুরোধ করা হলো।”
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তাদের গাড়ি, পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্স মিলে পরিষদে মোট ১১টি যানবাহন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে স্পিডবোটও। যে দুটি পাম্প এসব গাড়ির জ্বালানি তেল সরবরাহ করে, গত জুলাই থেকে তাদের টাকা বকেয়া পড়েছে। চার মাসের ১২ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় জ্বালানি তেল সরবরাহে অস্বীকৃতি জানায় দুটি পাম্প।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বদলে যায় দেশের পরিস্থিতি। পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের বেশিরভাগ চেয়ারম্যান-সদস্যরা চলে যান আত্মগোপনে। শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশের ৬১ জেলায় জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হলেও পাহাড়ের তিনটিতে দেওয়া হয়নি।
অক্টোবরে এই তিন জেলায় কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দেওয়া হলেও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এতে বাকি পড়ে যায় জ্বালানির দাম। যদিও জেলা পরিষদের জ্বালানি তেল সরবরাহ বিল বকেয়া আছে সরকার পতনের আগের মাস জুলাই থেকেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। এত টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় তেল সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পাম্প। এ অবস্থায় ১ নভেম্বর থেকে পরিষদের যানবাহন ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্র বলছে, অন্যান্য সময়ে মাসিক প্রায় ৫ লাখ টাকা করে জ্বালানি বাবদ খরচ হয়। গত চার মাসে পরিষদের কার্যক্রম সীমিত থাকায় খরচ কিছুটা কম হয়েছে।