রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল মোহাম্মদ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক নূর-ই-আলম রফিকুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও অন্যদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পূর্বে ক্রয়কৃত জমি বন্ধক দিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
রফিকুল ইসলাম যেকোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নেবেন—এমন তথ্য জানতে পেরেছে দুদক।
সংস্থাটি বলছে, রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা না গেলে অভিযোগ প্রমাণ করা দুরূহ হয়ে পড়বে। সুতরাং তার বিদেশ গমন রহিতকরণ করা একান্ত প্রয়োজন।
অন্যদিকে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, নুরুল ইসলাম একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে অবৈধভাবে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সাত হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
গোপনসূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।