গরুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করায় রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি হাটের ইজারাদার স্বপনকে কালো তালিকাভুক্ত এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় হাটে অভিযান চালিয়ে তাকে এই সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা।
ইজারাদার স্বপন হাটে থাকলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে যাননি। তার প্রতিনিধি এনামুল হক জানিয়েছেন, তারা মুচলেকা দিয়েছেন। এ ধরনের কোনও কাজ আর করবেন না।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের ৮ জেলার এক হাজার ৩০৩টি স্থায়ী এবং তিন শতাধিক অস্থায়ী হাট বসেছে।
বেতগাড়ি হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইজারাদার সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, বেতগাড়ি হাটে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইজারাদার স্বপনের চক্র যে গরুর হাসিল ৫০০ টাকা সেই গরুর ক্রেতার কাছ থেকে এক হাজার টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকেও ৫০০ টাকা আদায় করছিল। যে ছাগলের হাসিল ১৫০ টাকা সেই ছাগলের ক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকেও ৩০০ টাকা করে আদায় করছিল। কিন্তু কাউকেই কোনও রশিদ দিচ্ছিল না চক্রটি।
তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলি। হাটের কোথাও হাসিলের হিসাবের তালিকা টানাননি তিনি। মাইকিংয়েরও ব্যবস্থা করেননি। জিম্মি করে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছিল তার নিযুক্ত প্রতিনিধিরা।
“পরে ইজারাদার স্বপনকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এক লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ায় সাজা মওকুফ করা হয়েছে। ইজারাদারের পক্ষে তার অংশীদার এনামুল হক আর এ ধরনের কাজে যুক্ত হবেন না- মর্মে মুচলেকাও দেন।”
এ সময় সেখানে বেতগাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৃধা জানান, ইজারাদার স্বপনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে যেন ইজারা না পান সেটি দেখবে জেলা প্রশাসন। গরুর হাটগুলোতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।