রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার সকালে মনোয়ারুল ইসলাম (৩৫) নামে এক হাজতি মারা গেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের এক মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
মনোয়ারুল ইসলাম রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার পূর্ব ইচলি গ্রামের ফজলে রহমানের বড় ছেলে।
স্বজনরা বলছেন, মনোয়ারুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি কেন মারা গেছেন সে প্রতিবেদন এখনও তারা পাননি। চিকিৎসকদের ধারণা, তার মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে।
তার ছোটভাই হারুন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এক নারীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১২ তারিখ দুপুরে গ্রেপ্তার করা হলেও সেদিন কোর্টে চালান করা হয়নি।
“তারপর দিন কোর্টে চালান করা হয়। ১৪ তারিখ থেকে আমার ভাই অসুস্থ বোধ করেন। আমার ভাই বিএনপি করতে বলেই তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এখন অন্যদিকে ঘটনা প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে।”
স্বজনদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গংগাচড়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তার কাজই ছিল মহিপুর ব্রিজের আশপাশে বিভিন্ন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা। তাকে আমরা ১২ তারিখ বিকালে গ্রেপ্তার করি। তাই পরদিন সকালে কোর্টে হাজির করা হয়।”
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, “হাজতির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে চিকিৎসকের রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি। চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”