আগের দুই ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয় রংপুর রাইডার্সকে। গ্লোবাল সুপার লিগে তাদের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ধূসর হয়ে পড়েছিল তাতে। তৃতীয় ম্যাচ নুরুল হাসান সোহানদের জন্য হয়ে পড়ে নকআউট।
ওই ম্যাচে জয় দিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল রংপুর। রাউন্ড রবিন পর্বেই সোহানদের জন্য অলিখিত ফাইনাল হয়ে পড়া ম্যাচে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১৫ রানে জয় এসেছে। লো স্কোরিং ম্যাচে মাত্র ১১৭ করে সাফল্য পেয়েছে বিপিএল দলটি। ১১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে গায়ানা অলআউট হয় ১০২ রানে।
ম্যচের আগে টসের সময় গুরুতর অভিযোগ করেন গায়ানার ইমরান তাহির। গত মৌসুমে রংপুর রাইডার্স-এর কাছ থেকে পুরো টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘‘ অবশ্যই আমরা গায়ানার জন্য জিততে চাই। কিন্তু এখানে ব্যক্তিগত দিকও আছে। আমি গত বছর বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছি এবং আমি আমার চুক্তির সব টাকা পাইনি। সেই ঘটনা আজকের ম্যাচে আমাকে উজ্জীবিত করছে।’’
তাহির আরও বলেন, ‘‘আমরা দেখাতে চাই গায়ানা তাদের স্বাগত জানিয়েছে। গায়ানা তাদের স্থানীয় খেলোয়াড় এখানে নিয়ে এসেছে, কিছু অর্থ উপার্জন করবে আর কিছু ভালো ক্রিকেট খেলবে। আমরা এটা দেখাব যে আমরা তাদের চেয়ে ভালো মানুষ।’’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য পেরে উঠেনি গায়ানা। যদিও এই ম্যাচে হারতে বসেছিল রংপুর। মাত্র ২৭ রানে তারা হারায় ৫ উইকেট। স্টিভেন টেলর (০), সৌম্য সরকার (২), সাইফ হাসান (৮), ওয়েন ম্যাডসেন (৪) ও মেহেদি হাসান (৩) কেউই রান করতে পারেননি। পাকিস্তানি খুশদিল শাহ ৪৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে রংপুরের মুখ রক্ষা করেন।
১৫ রান করা সোহানকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। পরের উইকেটে ১০ রান করা রিশাদকে নিয়ে যোগ করেন ২৩ রান।
জবাবে ইনিংসের শেষদিকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে গায়ানা। ১৭তম ওভারে হারমিত সিংয়ের স্পিনে মাত্র ৩ রানে ২ উইকেট হারায় গায়ানা। পরের ওভারে রিশাদ মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নেন শেই হোপের উইকেট।
২৪ বলে ৩০ রানের প্রয়োজনীয়তা থেকে ১২ বলে ২৬ রান দরকার ছিল গায়ানার। ১৯তম ওভারে ১০ রান নিলেও শেষ ওভারের প্রথম বলে কামরুল ইসলাম রাব্বি উইকেট নিয়ে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন। রাব্বি ৪ ও হারমিত সিং ৩ উইকেট নেন।
