হারতে ভুলে গেছে রংপুর রাইডার্স। উড়তে থাকা দলটিকে প্রথম হারের তিক্ততা দেওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল খুলনা টাইগার্সের সামনে। কিন্তু তীরে গিয়ে তরী ডোবাল খুলনা। মেহেদী হাসান মিরাজরা জিততে যাওয়া ম্যাচ হেরে বসায় চলতি বিপিএলে জয়রথ সচল থাকল রংপুরের। এ নিয়ে ৭ ম্যাচের ৭টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল নুরুল হাসান সোহানরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনাকে ৮ রানে হারিয়েছে রংপুর। আগে ব্যাট করা রংপুর খুশদিল শাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৬ রান করে। টপ অর্ডারের চমৎকার ব্যাটিংয়ে জয়ের প্রায় কাছে চলে গিয়েছিল খুলনা। কিন্তু শেষ দিকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় রংপুর। খুলনা তাদের ইনিংস শেষ করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রানে।
১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ ছিল খুলনার নিয়ন্ত্রণে। সেসময় ১৮ বলে মাত্র ২২ রান প্রয়োজন ছিল তাদের, হাতে ৭ উইকেট। কিন্তু ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ম্যাচে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ান শেখ মেহেদী হাসান। দারুণ খেলতে থাকা আফিফ হোসেনকে (২৯) আউট করে ওই ওভারে দেন মাত্র ৪ রান। খুলনাযর জয়ের সমীকরণ তখন ১২ বলে ১৮।
কিন্তু ১৯তম ওভারে এসে আরও দাপুটে বোলিং আকিফ জাভেদের। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। শেষ ওভারে খুলনার দরকার ১২ রান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। অর্থাৎ, শেষ ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান নিতে পেরেছে খুলনা, হারিয়েছে ৬ উইকেট।
রংপুরের নাটকীয় এই জয়ের নায়ক আকিফ জাভেদ। পাকিস্তানি পেসার ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। শেখ মেহেদীর শিকার ২ উইকেট। তাদের চমৎকার বোলিংয়ে বৃথা গেছে নাঈম শেখের ৪১ বলে ৫৮ ও মিরাজের ২৪ বলে খেলা ৩৯ রানের ইনিংস।
এর আগে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও রংপুর বড় সংগ্রহ পায় খুশদিলের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে। পাকিস্তানি ব্যাটার ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৭৩ রানের ইনিংস। আরেক পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদ করেন ৩৬ বলে ৪৩ রান। রংপুরের দুই পেসার- আবু হায়দার রনি ও হাসান মাহমুদ দুজনই নেন ২টি করে উইকেট।