বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তবে তাকে কোন মামলায় বা কোন ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় করা কয়েকটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এর কোনোটিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। সবশেষ রাশেদ খান মেননের গ্রেপ্তারের খবর এল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাগত ও স্নাতকোত্তর শেষ করা এই রাজনীতিবিদ ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বাবা বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
রাশেদ খান মেননের অন্য ভাই-বোনরাও দেশের রাজনীতিসহ বিভিন্ন অঙ্গণের পরিচিত নাম। তার এক ভাই সাদেক খান সাবেক সাংবাদিক, আরেক ভাই শহিদুল্লাহ খান বাদল ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রকাশক।
এছাড়া আরেক ভাই আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ছিলেন কবি ও মন্ত্রী, সাবেক সাংবাদিক এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী এনায়েতুল্লাহ্ খানও তার ভাই।
চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমান হলেন রাশেদ খান মেননের বোন।
দশম জাতীয় সংসদে রাশেদ খান মেনন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এরপরের সংসদ ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকার বাংলামোটর থেকে মগমাজার মোড় পর্যন্ত সড়ক ‘রাশেদ খান মেনন সড়ক’ হিসেবে নামকরণ করা হয়।