Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

মির্জা আব্বাসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মেনন

রাশেদ খান মেনন। ফাইল ছবি।
রাশেদ খান মেনন। ফাইল ছবি।
[publishpress_authors_box]

তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে। তার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

এই মামলাতেই তিন দিনের জন্য তাকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। রিমান্ড শেষে বুধবার রাশেদ খান মেননকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহর আদালতে তোলা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক আদালতে মেননকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মেননকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর রমনা থানার সেগুনবাগিচা এলাকায় বিএনপির নির্বাচনী প্রচারকালে প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় এ বছর মামলা করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ইমাম হোসেন ইমন নামের এক ব্যক্তি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি রাশেদ খান মেননের আদেশে সেদিন মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মির্জা আব্বাসকে হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় বাদীসহ আরও কয়েকজন মির্জা আব্বাসকে ঘিরে ধরে হামলা থেকে বাঁচান। এতে তাদের পিঠে, মাথায় এবং হাতে মারাত্মক আঘাত লাগে।

রাশেদ খান মেননকে গত ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিনই আব্দুল ওয়াদুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছিল।

এরপর ২৬ আগস্ট আদাবর থানায় দায়ের করা পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় তাকে আরও ৬ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়।

মির্জা আব্বাসকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মেননের রিমান্ড মঞ্জুর হয় গত ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে ওই দিন রিমান্ডে না নিয়ে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর মেননকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও থানার আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। রমিজ উদ্দিন আহমেদ রূপ নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

তবে ২২ সেপ্টেম্বর মেননকে কারাগারে না পাঠিয়ে শাহবাগ থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়। আজ রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করলে আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত