পিচটা কঠিন ছিল। এমন পিচে কিনা ১৫৯ রান করে আফগানিস্তান। সেখানেই লেখা হয় জয়ের ভিত। আর এত বড় স্কোরে অবদান রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ১০৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এই জুটির শুরুতে বল ব্যাটে ঠিকঠাক আসছিল না গুরবাজের। ৫৬ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা গুরবাজ জানালেন, পানি পানের বিরতিতে পাওয়া মেসেজে বদলে গিয়েছিল তার ব্যাটিং, ‘‘এই জয়টার জন্য তিন বছর অপেক্ষা করেছি। অবশেষে নিউজিল্যান্ডকে হারালাম আমরা। প্রথম ইনিংসে এই পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল না। তবে পানি পানের বিরতির সময় দলের পক্ষ থেকে একটা বার্তা পাঠানো হয় (এরপর সাবলীল ব্যাট করি)। আমার শুরুটা ভাল হয়নি। ইব্রাহিম বলছিল মাথা ঠান্ডা রাখতে। ক্রিকেটীয় শট খেলতে। মনে হয়েছিল ১৩০-১৪০ রান তুলতে পারলেই জেতা সম্ভব। সেটাই হয়েছে।’’
১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে কিউই বধের আরেক নায়ক লেগস্পিনার রশিদ খান। বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তিনি, বসেছেন সাকিব আল হাসানের পাশে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে ৪ বা এর বেশি উইকেট সাকিব নিয়েছেন ৮ বার। সাকিবের সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন রশিদ।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আবার সাকিবকে ছাড়িয়ে গেছেন রশিদ। ১৭ ইনিংসে ৪ বা বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সাকিকের এমন কীর্তি আছে ১৬ বার ও লঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার ১৫বার।
অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এখন রশিদের। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগের সেরা ২০ রানে ৪ উইকেট ছিল নিউজিল্যান্ডের ডেনিয়েল ভেট্টরির।
নিজের রেকর্ড নয় কিউইদের হারিয়েই অবশ্য বেশি খুশি রশিদ, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে এটা আমাদের অন্যতম সেরা জয়। উইকেটটা সহজ ছিল না। প্রথম ১০ ওভারে উইকেট হারাইনি আমরা। এমন একটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের ব্যাপার। কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের বোলিং বিভাগকেও। যে কোনও দলের পক্ষেই আমাদের বিপক্ষে ১৬০ রান তোলা কঠিন।’’
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন কৃতিত্ব দিলেন আফগানদেরই, “আফগানিস্তানকে শুভেচ্ছা। সব বিভাগেই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে ওরা। এই পিচে ১৫৯ রান করা সহজ ছিল না।’’