Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

অবসর থেকে ফেরা শেখ রশীদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব

শেখ আব্দুর রশীদ।
শেখ আব্দুর রশীদ।
[publishpress_authors_box]

অবসরে থাকা শেখ আব্দুর রশীদকে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বানিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এরপর করা হয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব। এবার জনপ্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটি দেওয়া হলো তাকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এই পদে তিনি মো. মাহবুব হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার শেখ আব্দুর রশীদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়।

দুই বছরের চুক্তিতে এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। ১৪ অক্টোবর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।

জনপ্রশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ মুখ্য সচিবের দায়িত্বেও সম্প্রতি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। নতুন মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়ার মতো শেখ রশীদও বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব বিসিএসের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা। এই জ্যেষ্ঠ সচিব ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে ওলট-পালট হলেও মাহবুব মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে টিকে ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালনের মধ্যেই মাহবুবের অবসরের সময় হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে এক বছরের চুক্তিতে পুনঃনিয়োগ দেয়। সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় দেড় বছর দায়িত্ব পালনের পর এখন বিদায় নিচ্ছেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজনকে সচিবের পদে ফিরিয়ে আনে।

গত ১৩ আগস্ট পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান পদ থেকে এম খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শেখ আব্দুর রশীদকে।

পাঁচ দিন পর ১৮ আগস্ট তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

শেখ রশীদ অবসর নিয়েছিলেন অতিরিক্ত সচিব হিসাবে। কিন্তু এবার প্রশাসনে ফেরার পর তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করে আনা হয়।

শেখ রশীদের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলায়। তিনি পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। পরে তিনি ২০০৫ সালে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।

ছাত্রজীবনে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষার মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান ছিল শেখ রশীদের। বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ এবং প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন তিনি।

তিনি এক সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

শেখ রশীদের স্ত্রীও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনিও স্বামীর মতো অতিরিক্ত সচিব হিসাবে অবসর নেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত