হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের আরও দুটি কূপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন ১৮-২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল)।
সব মিলিয়ে রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ মিলিয়ন ঘনফুটে।
রবিবার দুপুরে রশিদপুর-২ ও রশিদপুর-৯ নম্বর কূপের উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সংযুক্তির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এসজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, দুই নম্বর কূপটি থেকে প্রতিদিন ৮-১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে। এছাড়া পাঁচ বছর আগে খনন শেষ হওয়া রশিদপুরের ভার্টিকাল-৯ নম্বর কূপেরও উৎপাদিত গ্যাসের প্রসেসপ্ল্যান্টে সংযোজনের উদ্বোধনও দুপুরে করেছেন প্রতিমন্ত্রী। এখান থেকেও দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হবে।
গ্যাসের বর্তমান গড় মূল্য বিবেচনায় এ কূপে উত্তোলনযোগ্য ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা বলেও জানান মিজানুর রহমান।
এসজিএফসিএল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে ৭১৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট মজুত রয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ বিলিয়ন ঘনফুট। এখনো দেশে গ্যাস মজুতের বড় ভরসা রশিদপুরের এই গ্যাসফিল্ডটি। সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের প্রায় অর্ধেকের বেশি জোগান দেয় এই ক্ষেত্রটি।
এটি প্রাকৃতিক গ্যাস এবং গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট উৎপাদনের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। গ্যাসক্ষেত্রের ১১টি কূপ থাকলেও আগে পাঁচটি কূপ সচল ছিলো। এর সঙ্গে নতুন করে দুটি কূপ সচল করায় ফিল্ডের উৎপাদিত কূপের সংখ্যা দাঁড়াল সাতটিতে। সঙ্গে বেড়েছে উৎপাদন সক্ষমতাও।
গ্যাসকূপ দুটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এবং হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা।