ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভুগছে বহুদিন। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ক্লাব ছাড়ার পর থেকে তারা হয়ে উঠেছে নিজেদের ছায়া। রুবেন আমোরিমের হাত ধরে নতুন শুরুর প্রত্যয় তাদের।
ইউরোপা লিগে নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড-এ দর্শকরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েই স্বাগত জানালেন পর্তুগালের এই কোচকে। গ্যালারিতে আমোরিমকে স্বাগত জানিয়ে বিশাল এক ব্যানার এনেছিলেন তারা। পুরো ৯০ মিনিটই ছিল সেটা।
বৃহস্পতিবার নরওয়ের ক্লাব বুদে/গ্লিম্টকে ৩-২ গোলে হারিয়ে এর প্রতিদানও দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথম মিনিটেই আলেহান্দ্রো গারনাচো এগিয়ে নিয়েছিলেন ম্যানইউকে। ১৯ ও ২৩তম মিনিটে দারুন দুই গোলে এগিয়ে যায় বুদে/গ্লিম্ট। এরপর ৪৫ ও ৫০ মিনিটে রাসমুস হয়লুনের জোড়া গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ।
ম্যাচ শেষে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ম্যানইউকে নিজের বাড়ির সঙ্গে তুলনা করলেন আমোরিম,‘‘দর্শকরা মনে করাচ্ছিল এটা আমার বাড়ি, বিশেষ ছিল ব্যাপারটা। স্টেডিয়ামের অর্ধেকই আমাকে চেনে না। আমি পর্তুগাল থেকে এসেছি আর এই ক্লাবের জন্য এখনও কিছু করিনি। তারপরও তারা যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে বিশেষ কিছু সেটা। আমি এটা লালন করব ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত।’’
দল জিতলেও এখনও উন্নতির অনেক জায়গা দেখছেন আমোরিম। টেন হাগের সময়ে মিউনিখের সঙ্গে চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করেছিল ম্যানইউ। এরপর গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে ১০ মিনিটে দুটি, কোপেনহেগেনের সঙ্গে চার মিনিটে দুটি আর আবারও গালাতাসারাইয়ের সঙ্গে নয় মিনিটে হজম করেছিল দুই গোল।
এবার বুদে/গ্লিম্টকের বিপক্ষে চার মিনিটে হজম করল দুই গোল। এখান থেকে বের হয়ে আসার কথাই জানালেন আমোরিম, ‘‘ছেলেদের নিয়ে এখনও সেভাবে জানি না আমি, একসঙ্গে অনেক কাজ করিনি আমরা। রোমাঞ্চ নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি, পাশাপাশি স্নায়ুর চাপেও ছিলাম। তবে এটা জানি আরও উন্নতি করতে হবে। বল বেশি হারানো যাবে না। আর গোল খাওয়া যাবে না একের পর এক।’’