এক টুকরো হীরা শুধু আঙ্গুল জড়িয়ে নয়, পুরো জীবনের সঙ্গেই মিশে থাকে; এমিলি ও’হারা রাটাকাউস্কি যেমন করে বিচ্ছেদের পরও তার বাগদানের আংটি নতুন করে গড়িয়ে পরলেন।
এমিলি ও’হারা রাটাকাউস্কি একাধারে মডেল, অভিনয়শিল্পী এবং লেখক। আর সেবাস্টিয়ান বিয়ার-ম্যাকক্লার্ড একজন অভিনয়শিল্পী ও সিনেমা পরিচালক।
দুজনের পরিচয় ঘটেছিল বন্ধুদের মাধ্যমে। ২০১৮ সালে কয়েক সপ্তাহ প্রেমের পর হুট করেই নিউ ইয়র্কে বিয়ের পর্ব সারেন দুজনে। আর এই বিয়ের খবর ওই বছর ২৩ ফেব্রুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা দেন রাটাকাউস্কি।
তবে দুজনের দাম্পত্য খুব বেশি দূর গড়ায়নি। একাধিক নারী বিয়ার-ম্যাকক্লার্ডের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। আর তাতে ২০২২ সালে বিচ্ছেদ বেছে নেন রাটাকাউস্কি।
সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাগদানের আংটি আঙুল থেকে খুলে ফেলাই প্রথা। কিন্তু সেপথে হাঁটলেন না এই মডেল ও লেখক।
এর আগে নগ্ন হয়ে বা উন্মুক্ত বুকে শিরোনাম হওয়া এই মডেল এবার আংটি নিয়ে নতুন কিছু করতে দ্বারস্থ হলেন অ্যালিসন লউ নামের গহনার ব্র্যান্ডের ক্রিয়াটিভ পরিচালকের; অ্যালিসন কেমলার সহায়তার নতুন চেহারা পেলো রাটাকাউস্কির সেই বাগদানের আংটি।
অনেকটা নাশপাতির মতো, যাকে বলে পিয়ার-শেপড এবং প্রিন্সেস-কাট করে হীরা কেটে হলো দুটো আলাদা আংটি।
পুরনো আংটি নতুন করে গড়িয়ে নেওয়ার পর ভোগ ম্যাগাজিনের কাছে রাটাকাউস্কি বলেন, “এই আংটিগুলোই বলে দিচ্ছে আমার মধ্যে একটা পরিবর্তন ঘটেছে।
“আমার কিন্তু মনে হয় না একজন পুরুষের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে বলেই নারীকে হীরা থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে।”
নাশপাতি আকারে কেটে নেওয়া আংটি এখন এই মডেলের কনিষ্ঠ মানে গোলাপী আঙুলে বসে আছে। আর ট্রাপেজয়ড মোড়ানো প্রিন্সেস কাট হীরাটি এখন আরও বেশি দ্যুতি ছড়াচ্ছে।
‘দ্য প্যারিস রিভিউ’ ম্যাগাজিনে স্টেফানি ড্যানলারের লেখা দ্য আনরেভেলার পড়ার পরই এরকম একটি ভাবনা আসে রাটাকাউস্কির মনে; তিনি নিজেই জানান সে কথা।
“ওই গল্পে তার নানি বা দাদির সর্পিলাকার আংটির কথাও এসেছে; যা কয়েকবার বিয়ে হওয়ার কারণে জমা হওয়া রত্ন দিয়ে বানানো হয়েছিল। ”
“একজন নারীর জীবনবৈচিত্র্যের নিঃসংকোচ দলিল হয়ে উঠছে এই আংটি; যে কারণে আমার এই ভাবনা ভালো গেলে যায়।”
জীবনে বড় রদবদল হওয়ার ক্ষণে নিজেকে সামাল দিতে এমন করে আংটি গড়িয়ে নেওয়া ’মজার কাজ’ ছিল বলেও জানান দেন ৩২ বছর বয়সী রাটাকাউস্কি।
“এই আংটি আমার কাছে প্রতীকী হয়ে উঠেছিল যেন একটা প্রমাণ অথবা একটা সাক্ষী, যে জানে আমার জীবন আবার আমারই হয়ে উঠেছে।”
“এই আংটি আমাকে মনে করিয়ে দেয়, আমি আমার কল্পনারও বাইরে নিজেকে সুখী রাখতে পারি।”