Beta
মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪

রওশনের কথা আমলেই নিচ্ছেন না জি এম কাদের

রওশন
রওশন এরশাদ
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

[publishpress_authors_box]

ভোটের পর চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বহিষ্কারের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তিনি দিয়েছেন বিবৃতি। তবে এনিয়ে কথাই বলতে চাইছেন না জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টিতে কর্তৃত্ব নিয়ে কাদের-রওশন দ্বন্দ্ব দলের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পরপরই প্রকাশ্য হয়। পরে দলের জ্যেষ্ঠনেতাদের হস্তক্ষেপে সমঝোতা হয় তাদের।

তবে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আবার দুজনের দূরত্ব প্রকাশিত হলে রওশন ভোটে অংশ নেওয়া থেকেই বিরত থাকেন।

ভোটে ভরাডুবির পর দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে জি এম কাদের কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করেন।

সোমবার এক বিবৃতিতে রওশন সেসব নেতাদের দলে ফিরিয়ে এনে স্ব -স্ব পদে বহালের আহ্বান জানিয়েছেন।

রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহর মাধ্যমে আসা এই বিবৃতিতে বলা হয়, “পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যে সব নেতা-কর্মী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট, এদেরকে দল থেকে বহিস্কার বা অব্যাহতি প্রদান অতীব দুঃখজনক।

“বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তথাকথিত দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অজুহাত তুলে দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা অত্যান্ত দুঃখজনক।”

নির্বাচনে বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে শক্তিশালী করা যখন প্রয়োজন, তখন নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার জাতীয় পার্টিকে ‘ন্যাপ মোজাফ্ফর, ন্যাপ ভাসানী ও মুসলিম লীগে রূপান্তরের সামিল’ বলেও মন্তব্য করেন রওশন।

এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জি এম কাদের সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। দলের সিদ্ধান্ত কারও কথায় পরিবর্তনের কিছু নেই। দল তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কে, কী বলল, তা দেখার বিষয় না।” নির্বাচনের পর কো চেয়ারম্যান ফিরোজ রশীদ এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায়কে বহিষ্কার করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদের।

এরপর ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত