বছরের পর বছর যায়, আইপিএলের পর আইপিএল- কিন্তু অপেক্ষা শেষ হয় না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। আইপিএলের ১৭টি আসর পেরিয়ে গেলেও শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। এই দলটির সঙ্গে শুরু থেকেই আছেন বিরাট কোহলি। স্বভাবতই ভারতের জার্সিতে প্রায় সব শিরোপা জিতলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খালি হাতে থাকতে হয়েছে তাকে। এবার কি আক্ষেপ দূর হবে কোহলির?
২০১৬ সালের পর আবার আইপিএল ফাইনালে উঠেছে বেঙ্গালুরু। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস। দুই দলের কেউই এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি। সুতরাং, এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে আইপিএল।
বেঙ্গালুরু সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইছে না। ১৮তম আসরে প্রথমবার শিরোপা উদযাপন করতে মুখিয়ে আছে দলটি। বিশেষ করে, কোহলিকে একটা শিরোপা দেওয়ার তাড়না বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য কোহলি যেভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন, যেভাবে বেঙ্গালুরুকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন- সেটির প্রতিদান এবার তারা দিতে চাইছেন। কোহলির ঋণ শোধ করতে আইপিএল জেতার লক্ষ্য তাদের।
কোহলির জন্যই আইপিএল জিততে চান বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পতিদার। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ফাইনালের আগে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক বলেছেন, “আমরা তার (কোহলি) জন্য এটা (আইপিএল) জিততে চাই। বছরের পর বছর ধরে ভারত ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য অনেক কিছু করেছেন তিনি।”
সর্বশেষ ২০১৬ সালে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল কোহলিকে। সেবারের ফাইনালে বেঙ্গালুরু হেরেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। এর আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালেও ফাইনালে হেরেছিলেন কোহলি।
আহমেদাবাদের ফাইনালের আগে বেঙ্গালুরু মানসিকভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। কারণ প্রথম কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাবের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতেছিল তারা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাঞ্জাবকে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। ওই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই থাকবে ফাইনালের মঞ্চে।