Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

রিয়ালের চেয়ে বেশি টাকা পেল ডর্টমুন্ড, কীভাবে

3331
[publishpress_authors_box]

বিশ্বকাপের উন্মাদনা হয়তো নেই। তবে গুণে-মানে-অর্থ-বিত্তে চ্যাম্পিয়নস লিগের মর্যাদাও অন্যরকম। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাইজমানিই ছিল ২১০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকার বেশি।

চ্যাম্পিয়নের জন্য পুরস্কার ২ কোটি ইউরো আর রানার্সআপ দলের প্রাপ্তি ১ কোটি ৫৫ লাখ ইউরো। শুধু তাই নয় গ্রুপ পর্ব খেলা দলও পেয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ইউরো (৬ ম্যাচের জন্য)। একেকটা ম্যাচ জিতলে পাওয়া যায় ২৮ লাখ ইউরো আর ড্র করলে ৯ লাখ ৩০ হাজার ইউরো।

তবে ফাইনালে খেলা দুই দল রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের জন্য অর্থ প্রাপ্তি হয়েছে দুই রকমভাবে। কারণ পুরস্কারের সঙ্গে জড়িত ‘মার্কেট পুল’। এটা হচ্ছে গ্রুপ পর্বের অবস্থান, জয়ের বোনাস, সম্প্রচারস্বত্বের ভাগাভাগি আর এবং উয়েফার টুর্নামেন্টের আগের ফল থেকে পাওয়া অর্থ। এজন্য বড় ক্লাব ও ছোট ক্লাবগুলোর আয়ে ব্যবধান হয় বেশ।

রিয়াল এর আগে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতায় এমনিতেই আয় করেছে সবচেয়ে বেশি।  সেই হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সব মিলিয়ে রিয়ালের আয়ের অঙ্ক ১১ কোটি ৮৫ লাখ ইউরো। ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়ন হলে পেত ১০ কোটি ২১ লাখ ইউরো। সেটা হয়নি। পেতে হয়েছে এর ৪৫ লাখ ইউরো কম। তারপরও রানার্সআপ হয়ে চুক্তির একটা ধারার জন্য বেশি টাকা পেয়েছে তারা! কীভাবে?

আসলে জুড বেলিংহাম এই মৌসুমে ডর্টমুন্ড ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি দিতে হয়েছিল এজন্য। এছাড়া নানা অঙ্কের বোনাসের পাশাপাশি চুক্তিতে একটা ধারা ছিল, বেলিংহাম রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে ডর্টমুন্ডকে দিতে হবে ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বোনাস।

তাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে উয়েফার কাছ থেকে রিয়াল পেল ২ কোটি ইউরো। সেখানে বেলিংহামের চুক্তির সৌজন্যে রানার্সআপ হয়ে শুধু রিয়ালের কাছ থেকে তারা পেল ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো! তবে বাড়তি টাকা নয় ডর্টমুন্ড বেশি করে পেতে চেয়েছিল ট্রফিটাই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত