রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা। এই টুর্নামেন্টে হারের দুয়ারে থেকেও কোনো এক জাদু মন্ত্র বলে বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। হারার আগে হার না মানার এই মানসিকতায় রেকর্ড ১৫ বার জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। অথচ শিরোপা জেতায় দুইয়ে থাকা এসি মিলানের ট্রফি ৭টি।
ইউরোপ–সেরার মুকুটের জন্য গত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল। লন্ডনের সেই ফাইনালে ‘ইয়েলো–ব্ল্যাক’খ্যাত ডর্টমুন্ডকে ২–০ গোলে হারিয়ে তারা সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের ইতিহাস। আর এত কাছে গিয়েও জিততে না পারার আক্ষেপে পুড়েছিল ডর্টমুন্ড।
সেই ফাইনালের চার মাস পর আজ (মঙ্গলবার) আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি রিয়াল-ডর্টমুন্ড। নতুন ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তারা মুখোমুখি গ্রুপ পর্বে।
নতুন মৌসুমে বদল হয়েছে দুই দলেই। ডর্টমুন্ড ছেড়ে গেছেন চার মাস আগের ফাইনাল খেলা ফুলক্রুগ-হুমেলস ও রয়েস। কোচ এদিন তেরজিচের জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন ক্লাবটির সাবেক ফুটবলার ৩৬ বছর বয়সী নুরি সাহিন। তিনি এর আগে খেলেছেন রিয়ালেও।
বুন্দেসলিগায় ডর্টমুন্ড এখন ৭ নম্বরে, এমন ফলই বলছে প্রতিশোধের নেশায় বার্নাব্যু আসলেও কাজটা সহজ নয় তাদের জন্য। তবে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই ম্যাচই জিতেছে তারা। ১০ গোল করার বিপরীতে ডর্টমুন্ড হজম করেছে কেবল ১ গোল। আর রিয়াল আতলান্তার বিপক্ষে ২–০ গোলে জিতলেও পরের ম্যাচে লিলের কাছে হেরেছে ১–০ গোলে। তাদের জন্য এই ম্যাচটা ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ।
দলে নতুন আসা কিলিয়ান এমবাপ্পে লা লিগায় করেছেন ৬ গোল। তার কাছ থেকে আরও ভালো কিছুর আশায় কোচ কার্লো আনচেলত্তি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন “এমবাপ্পে আরও গোল করুক, এটাই চাওয়া আমার। মাঠে সেন্টার ফরোয়ার্ডের ভূমিকা বদলে যায়নি। আমি তার কাছে সেটাই চাই, যা করিম বেনজেমার কাছে চাইতাম।”
এমবাপ্পে কি পারবেন ভিনিসিয়ুস, রোদ্রিগোদের নিয়ে জ্বলে উঠতে?