Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

যে কারণে জিততে পারে রিয়াল

২২১৪
[publishpress_authors_box]

চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা রিয়াল। রেকর্ড ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন মাদ্রিদের অভিজাত ক্লাবটি। দুইয়ে থাকা এসি মিলানের শিরোপা ৭টি। আর বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের শিরোপা একটি, তাও সেটা ১৯৯৭ সালে জেতা। এবারের ওয়েম্বলির ফাইনালে তাই ফেভারিট হয়েই নামছে রিয়াল। তারা কেন ১৫তম শিরোপার আনন্দে ভাসতে পারে, দেখে নেওয়া যাক।

১ ইতিহাস-ঐতিহ্য-অভিজ্ঞতা :  ডর্টমুন্ডের চেয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যে যেমন সমৃদ্ধ তেমনি অভিজ্ঞতাতেও যোজন যোজন এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। ডর্টমুন্ড দুবার ফাইনালে খেলে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে একবারই। সেখানে ১৭বার ফাইনাল খেলে ১৪ বারই চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।

১৯৮১ সালের পর এ নিয়ে ৯বার ফাইনাল খেলছে রিয়াল। আগের ৮বার তাদের হারাতে পারেনি কোনও দল। এমন ইতিহাস এবারও আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাদের। আন্তোনিও রুডিগার তো বলেই বসেছেন, ‘‘রিয়ালের সবাই আগে থেকে জানে কেমন থাকতে হয় এ ধরনের ম্যাচের আগে। যখন এই ক্লাবে স্বাক্ষর করি, তখন অনুভব করছিলাম যে এই ক্লাবটা শুধু জিততেই চায়।’’ 

২ দৃঢ় রক্ষণ : ফাইনালের মত মঞ্চে ব্যবধান গড়ে দেয় দৃঢ় রক্ষণ। সেখানে সেমিফাইনালে পিএসজির মত দলের বিপক্ষে দুই লেগে কোনও গোল হজম করেনি ডর্টমুন্ড। দুই সেন্টার ব্যাক ম্যাট হামলেস, নিকো শ্লোটারবেকের সঙ্গে গোলপোস্টে অনন্য ছিলেন গ্রেগর কোবেল।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পে, উসমান দেম্বেলেরা আক্রমণের ঢেউ বইয়ে দিয়েছিলেন ডর্টমুন্ডের রক্ষণে। কোচ এডিন টেরডিচ মেনেও নিয়েছিলেন, ‘‘ভাগ্য সঙ্গ দিয়েছে আমাদের।’’

রিয়াল মাদ্রিদের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। আর সেমিফাইনালে ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। কঠিন দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এদের মিলিতাও, আন্তোনিও রুডিগার, দানি কারভাহালরা। প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোল করা আর্লিং হালান্ড দুই লেগেও পাননি গোলের দেখা।

 সেমিফাইনালে দুই লেগে বুন্দেসলিগার সেরা গোলদাতা হ্যারি কেইন লক্ষ্যভেদ করেছিলেন একবারই, তাও সেটা পেনাল্টি থেকে। তাই ডেভিড আলাবা, চুয়ামেনিরা না থাকলেও নির্ভার রিয়াল।

৩ আক্রমণভাগে এগিয়ে : জুড বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রোদ্রিগো, হোসেলুদের নিয়ে যে কোনও ক্লাবকে বিধ্বস্ত করতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২২ সালের ফাইনালে ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল ভিনিসিয়ুসের গোল। গত তিন মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ৩১ গোলে অবদান ভিনিসিয়ুসের (গোল ও অ্যাসিস্ট)।

ডর্টমুন্ডের ফুলক্রুগ ১২ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল, যা এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাবটির সর্বোচ্চ। তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুস ও রোদ্রিগোরা। তবে এই মৌসুমে ১২জন আলাদা ফুটবলার গোল করেছেন ডর্টমুন্ডের হয়ে। সেখানে রিয়ালের সবগুলো গোল আট জনের।

এমনকি বদলি হয়ে নেমে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে শেষ দিকে (৮৮ মিনিট ও ইনজুরি টাইম) জোড়া গোল করেছিলেন হোসেলু। হারের মুখে থেকে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর এই মানসিকতাতেও ডর্টমুন্ডের চেয়ে এগিয়ে রিয়াল। তারা যে ‘কামব্যাক কিং’।

৪ আনচেলোত্তি জাদু : একমাত্র কোচ হিসেবে চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের রেকর্ড কার্লো আনচেলোত্তির। এসি মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন দুবার করে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘‘আমি রিয়ালে তরুণদের মিনিট দিতে আসিনি (পরীক্ষা নিতে আসিনি), রিয়াল আমাকে কোচ করেছে জেতানোর জন্য।’’

জয়ই মন্ত্র আনচেলোত্তির। কিভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে বড় দলের বিপক্ষে জিততে হয়, তার চেয়ে ভালো জানে কম জনই। সেখানে ডর্টমুন্ডের কোচ এডিন টেরডিচ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ডাগ আউটে থাকছেন প্রথমবার। ২০১৩ সালে সবশেষ যখন ডর্টমুন্ড ফাইনালে পৌঁছেছিল, সেবার তিনি ভক্তদের বাসে চেপে ওয়েম্বলি গিয়েছিলেন দলকে সমর্থন জানাতে।

 ৫ লিগের ফর্ম : লা লিগার ফর্ম এগিয়ে রাখছে রিয়াল মাদ্রিদকে। চার ম্যাচ হাতে রেখে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কার্লো আনচেলোত্তির দল। দুইয়ে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে তারা এগিয়ে ছিল ১০ পয়েন্টে। পুরো মৌসুমে হার মাত্র ১ ম্যাচে।

বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড মৌসুমটা শেষ করেছে ৫ নম্বরে থেকে। চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুসেনের চেয়ে ডর্টমুন্ড পিছিয়ে ছিল ১৭ পয়েন্টে। ঐতিহ্যবাহী বায়ার্ন মিউনিখ দুই লেগেই হারিয়েছিল তাদের।

 রিয়ালের মত বড় দলের বিপক্ষে ওয়েম্বলিতে ডর্টমুন্ডের ৯০ মিনিট টিকে থাকাটা সহজ হওয়ার কথা নয় তাই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত