এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, বেলিংহাম, রোদ্রিগোদের রিয়াল মাদ্রিদকে বলা হচ্ছে ‘নতুন গ্যালাকটিকো’। গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান সুপার কাপও জিতেছে তারা। তবে লা লিগায় তারায় ঠাসা সেই রিয়ালকে ১-১ গোলে রুখে দিল মায়োর্কা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য বড় সতর্কতাও এটা।
লিগের অভিষেকে বিবর্ণ ছিলেন এমবাপ্পে। বেলিংহামও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া তিনটা অসাধারণ সেভ না করলে হারতেও পারত রিয়াল। তাই ম্যাচ শেষে কোচ কার্লো আনচেলোত্তির হতাশা, ‘‘আমাদের শুরুটা ভালো ছিল তবে বিরতির পর দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ম্যাচটা হারতেও পারতাম কারণ অমনোযোগী ছিলাম। প্রতি আক্রমণে অনেক বেশি ক্রস করেছে ওরা।’’
গত বছর মায়োর্কার স্টেডিয়ামে বর্ণবাদের শিঁকার হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কাল রাতেও তার পায়ে বল গেলে দুয়ো দিয়েছেন প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। ভিনিসিয়ুসের অ্যাসিস্টেই ১৩ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল। তার ব্যাকহিল ফ্লিকে জায়গা বানিয়ে তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় রোদ্রিগোর শট।
২৫তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ভিনিসিয়ুসের পাসে দুরূহ কোণ থেকে পাশের জলে বল মারেন এমবাপ্পে। বিরতির আগে তাকুমা আসানো ও মুরিচির প্রচেষ্টা রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। ৫৩ মিনিটে পারেননি আর। রোদ্রিগেসের কর্নারে জোরাল হেডে বল জালে পাঠান কসোভোর ফরোয়ার্ড মুরিচি।
৭০তম মিনিটে এমবাপ্পের কোনাকুনি শট মায়োর্কা গোলরক্ষক পা দিয়ে ঠেকালে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে। ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণ আগে অহেতুক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফেরলান্দ মেন্দি।