চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘রাজা’ রিয়াল মাদ্রিদ। কেন, সেটির প্রমাণ আরেকবার দিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে তারা পৌঁছে গেছে সেমিফাইনালে। কিন্তু পথটা ছিল ভীষণ কঠিন। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগ ছিল ম্যান সিটির মাঠ ইত্তিহাদে। যেখানে স্বাগতিকদের কখনও হারাতে পারেনি রিয়াল। ফলে আশার প্রদীপ নিভু নিভু করে জ্বলছিল। তবে রিয়াল মাদ্রিদ প্রমাণ করল তাদের দিনে সব পরিসংখ্যানই তুচ্ছ হয়ে যায়।
যে কারণে ইত্তিহাদের ম্যাচ জেতার পর রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলতে পারেন, “রিয়াল মাদ্রিদ কখনও মরে না।” ঘরের মাঠের প্রথম লেগ ৩-৩ গোলে ড্র করার পর সেমিফাইনালের স্বপ্নপূরণ করা ভীষণ কঠিন ছিল রিয়ালের। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ম্যান সিটিকে তাদের মাঠে হারিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন হয়তো রিয়ালের অনেক সমর্থকও দেখেননি। যেটির বড় কারণ গত মৌসুমের সেমিফাইনাল। ইত্তিহাদের দ্বিতীয় লেগে এই ম্যান সিটির কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রিয়াল।
আরেকটি পরিসংখ্যানও রিয়ালকে অশনিসংকেত দিয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ হারেনি ম্যান সিটি। যদিও সব পরিসংখ্যান মিথ্যা প্রমাণ করে ইত্তিহাদে টাইব্রেকার জিতে রিয়াল নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলের জয় পায় রিয়াল। শেষ চার নিশ্চিতের পর আনচেলত্তি বলেছেন, “সবাই ভেবেছিল আমরা মরে গেছি, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ কখনও মরে না। এখান থেকে বেঁচে ফেরার একটাই উপায় ছিল, সেটা হলো সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। আমরা শুরুতেই এগিয়ে যাই, এরপর দারুণভাবে রক্ষণ সামলেছি। এটা ছাড়া সিটির বিপক্ষে আর কোনও উপায় নেই।”
১২০ মিনিটের লড়াই ১-১ গোলে শেষ হলে টাইব্রেকারের গড়ায় ম্যাচ। পেনাল্টি শুটআউটের সময় আনচেলত্তির কী মনে হয়েছিল? ইতালিয়ান কোচ বললেন, “পেনাল্টি শুটআউটের সময় আমরা পুরোপুরি আশ্বস্ত ছিলাম যে, আমরা পরের রাউন্ডে যাব। আমরা দারুণভাবে রক্ষণ সামলেছি। এভাবেই আসলে টিকে থাকতে হয়েছে।”