অবশেষে লা লিগায় গোলের দেখা পেলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়ালের জার্সিতে অভিষেকে উয়েফা সুপার কাপে গোল করলেও লা লিগার তিন ম্যাচে পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। রবিবার রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে জোড়া গোলে খুললেন তালাটা। রিয়াল মাদ্রিদও জিতেছে ২-০ গোলে।
৬০ শতাংশ বলের দখল রেখে খেলা রিয়াল পোস্টে শট নিয়েছিল ২১টি, লক্ষ্যে ছিল ৭টি। তারা প্রথম গোলের দেখা পায় ৬৭ মিনিটে। দুজনের বাধা এড়িয়ে রোদ্রিগো বক্সের বাইরে পাস দেন ফেদে ভালভের্দেকে। তার ব্যাকহিল ফ্লিকে ভেতরে ঢুকে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান ফরাসি অধিনায়ক। উচ্ছ্বাসে ফেটে পরে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারি।
৭৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। বক্সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে গোলরক্ষক রুই সিলভার সংঘর্ষ হলে প্রথমে অফসাইড দিয়েছিলেন সহকারী রেফারি। পরে ভিএআরে পেনাল্টি দেন রেফারি।
রিয়ালের হয়ে আগের ম্যাচে পেনাল্টি নিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। তবে রবিবার ভিনিসিয়ুসই পেনাল্টি নিতে দেন এমবাপ্পেকে। এ নিয়ে কোচ আনচেলোত্তির প্রশংসা, ‘‘ভিনিসিয়ুস নিঃস্বার্থভাবে খেলে। এমবাপ্পেকে পেনাল্টি নিতে ওই বলেছিল, ওদের দুজনের সম্পর্কটা অসাধারণ।’’
এই পেনাল্টি নিয়ে অবশ্য আপত্তি তুলেছেন নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি মার্কো ফন বাস্তেন। ‘জিগো স্পোর্ত’-এ ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বাস্তেন বলছিলেন, ‘‘গোলকিপারের পায়ে লাথি মেরেছে ভিনিসিয়ুস। গোলকিপার কিছুই করেনি অথচ নির্বোধের মত পেনাল্টি দিল ভিএআর।’’
বিতর্কে না জড়িয়ে জোড়া গোল নিয়ে সন্তুষ্টি জানালেন এমবাপ্পে, ‘‘কোনও চাপ ছিল না, এটা ফুটবল। আমি এখানে কিলিয়ান হতে এসেছি, আমি খুশি আর কাজ করতে চাই। এই স্টেডিয়ামে গোলের জন্য মুখিয়ে ছিলাম যা বিশ্বসেরা। যখন গোল পাচ্ছিলাম না তখনও দর্শকরা আমাকে ভালোবেসে গেছে।’’
এই ম্যাচে বেতিসের পোস্টে ৯টা শট নিয়েছিলেন এমবাপ্পে, গোল হয়েছে এর দুটি।