বদলি নেমে ম্যাচের ফলই বদলে দিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তিনি নামার আগে এস্পানিওলের বিপক্ষে রিয়াল পিছিয়ে ছিল ১-০ গোলে। এরপর একটি অ্যাসিস্ট আর গোল করে ৪-১ ব্যবধানের জয়ের নায়ক এই ব্রাজিলিয়ান।
রিয়ালের হয়ে একটি করে গোল দানি কারভাহাল, রোদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস ও কিলিয়ান এমবাপ্পের। ৬ ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগায় দুইয়ে আছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা শীর্ষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ।
ফল
রিয়াল ৪ : ১ এস্পানিওল
ভ্যালেন্সিয়া ২ : ০ জিরোনা
ওসাসুনা ২ : ১ লাস পালমাস
এ নিয়ে লা লিগায় দুই মৌসুম মিলিয়ে টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত রইল রিয়াল। তারা জিতেছে ২৮ আর ড্র ১০ ম্যাচে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সালের লা লিগায় ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত (২২ জয়, ১৬ ড্র) ছিল সোসিয়েদাদ। তাদের পাশে বসল রিয়াল। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা অবশ্য বার্সেলোনার (২০১৭-১৮)।
৭৩ শতাংশ বলের দখল রেখে খেলে পোস্টে ৩১টা শট নিয়ে ১৪টা লক্ষ্যে রেখেছিল রিয়াল। তারপরও ৫৪ মিনিটে থিবো কর্তোয়ার আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড কারেয়াসের শট কর্তোয়ার পায়ে লেগে জড়ায় জালে। একুশ শতকে রিয়ালের প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে লা লিগার ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করলেন এই বেলজিয়ান।
৫৮ মিনিটেই কারভাহালের গোলে সমতা ফেরায় রিয়াল। তারা এগিয়ে যায় ৭৫ মিনিটে। গিলেরের বদলি নামা ভিনিসিয়ুসের নিচু ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান রোদ্রিগো।
৭৮ মিনিটে এমবাপ্পের থ্রু বলে ছুটে গিয়ে বাঁপায়ের কোনাকুনি নিচু শটে ব্যবধান ৩-১ করেন ভিনিসিয়ুস। রোদ্রিগোর বদলি নেমে এনদ্রিক আদায় করেছিলেন পেনাল্টি। ম্যাচের শেষ মিনিটে স্পট কিক থেকে রিয়ালের হয়ে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপ্পে।
