ইউরোপিয়ান ফুটবলে বর্ণবাদের ঘটনা নতুন নয়। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যেভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন, অন্য কোনও খেলোয়াড়কে সম্ভবত এত হেনস্থা ও অপমানের শিকার হতে হয়নি। এতদিন তবু সামনাসামনি হচ্ছিলেন, এবার তো না থেকেও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হলেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড!
চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের আগে স্পেনের দুই জায়গায় বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার সমর্থকরা তাকে নিয়ে অপমানমূলক মন্তব্য করেছেন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই ব্রাজিলিয়ান তারকা সেখানে উপস্থিতি তো ছিলেনই না, একইসঙ্গে এই দল দুটির সঙ্গে রিয়ালের ম্যাচও ছিল না। বর্ণবাদের পর্যায় এই জায়গায় পৌঁছে যাওয়ায় আইনি পথে হাঁটল তার ক্লাব রিয়াল। আতলেতিকো ও বার্সেলোনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্প্যানিশ প্রসিকিউটরের কাছে তারা আইনি অভিযোগ করেছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর শেষ লেগের আগে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। ভিডিওতে দেখা গেছে, ইন্টার মিলানের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের আগে আতলেতিকো মাদ্রিদ সমর্থকরা ভিনিয়ুসকে ‘শিম্পাঞ্জি’ বলে ডাকছেন। অন্যদিকে নাপোলির বিপক্ষে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের আগে বার্সেলোনা সমর্থকরা “ভিনিয়ুস, মারা গেছে” বলে চিৎকার করছেন।
মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার দুটো ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে স্প্যানিশ প্রসিকিউটরের কাছে শাস্তি দাবি করেছে রিয়াল।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাবটি জানিয়েছে, “মাদ্রিদের মেত্রোপোলিতানো স্টেডিয়াম ও বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকায় আমাদের খেলোয়াড় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক অপব্যবহারের জন্য ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক অপরাধে রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটরের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে রিয়াল মাদ্রিদ৷”
সঙ্গে যোগ করেছে, “রিয়াল মাদ্রিদ অপব্যবহারের অপরাধীদের শনাক্ত করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে দুই জায়গার রেকর্ডিং দেখার জন্য প্রসিকিউটরদের অনুরোধ জানিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ বর্ণবাদ, বৈষম্য ও ঘৃণার এই সহিংস আক্রমণের নিন্দা করছে।”
রিয়াল আইনি পথে হাঁটার আগেই ভিনিসিয়ুস ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা উয়েফাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আতলেতিকো মাদ্রিদ সমর্থকদের বর্ণবাদী মন্তব্যের ভিডিও পোস্ট করে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার লিখেন, “আশা করছি, আপনারা (উয়েফা) ইতিমধ্যে তাদের শাস্তি নিয়ে ভেবেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক বাস্তবতা, কারণ এখন এমন ম্যাচগুলোতে হচ্ছে যেখানে আমার উপস্থিতিই নেই।”