গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্যালন ডি’অর মনোনয়নে দলটির খেলোয়াড়ের সংখ্যাও বেশি। পুরস্কারটির দৌড়ে আছেন মাদ্রিদের ক্লাবটির সাত খেলোয়াড়। তবে সেখানে জায়গা হয়নি রোদ্রিগোর।
ব্যক্তিগত অর্জনে সবচেয়ে মর্যাদার পুরস্কার ধরা হয় ব্যালন ডি’অর। গত মৌসুমের পারফরম্যান্সে রোদ্রিগো আশায় ছিলেন, ২০২৪ সালের সংস্করণে মনোনয়ন পাবেন তিনি। কিন্তু ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকতে না পেরে হতাশ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার মতে, এই তালিকায় থাকার দাবিদার তিনি।
২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম ব্যালন ডি’অর লড়াইয়ে নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। দুই মহাতারকার কেউ না কেউ থাকতেন পুরস্কারটির দৌড়ে। ফ্রান্স ম্যাগাজিনের দেওয়া এই পুরস্কার সবচেয়ে বেশি জিতেছেন তারাই। মেসি জিতেছেন রেকর্ড আটবার, অন্যদিকে রোনালদোর হাতে উঠেছে পাঁচবার।
২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রিয়ালের সাত খেলোয়াড়- ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম, ফেদেরিরো ভালভার্দে, টনি ক্রুস, আন্টোনিও রুডিগার ও দানি কারভাহাল। নতুন সাইন করা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ধরলে সংখ্যাটা আট।
গত মৌসুমে রিয়ালের সাফল্যে রোদ্রিগোর অবদানও কম নয়। লা লিগায় ১০টি ও চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছেন ৫ গোল। এরপরও মনোনয়ন না পাওয়ায় হতাশ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, “আমি হতাশ। আমার মনে হয়, এটার (মনোনয়ন) আমি দাবিদার। মনোনয়ন পাওয়া অন্য খেলোয়াড়দের এখানে ছোট করে দেখছি না। কিন্তু আমি মনে করি, ৩০ জনের একজন হতে পারতাম। বিষয়টা আমার কাছে বিস্ময়করই…। যদিও এখানে আমার কিছুই করার নেই। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমি কেউ নই।”
মাঠে প্রতিনিয়ত নিজের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন রোদ্রিগো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলকে জয়ের পথে ফিরিয়েছেন তিনি। রিয়ালের একাদশেও জায়গা পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন। তবে নিজের পজিশন এখনও ঠিকঠাক করতে পারেননি।
কেন পারেননি, সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড, “আমাকে প্রায়ই শূন্যস্থান পূরণ করতে হচ্ছে। ওখানে কেউ নেই? রোদ্রিগোকে পাঠাও। ডান প্রান্তে কেউ নেই? রোদ্রিগো আছে। দলের নাম্বার নাইনকে মিস করছে? সেখানে রোদ্রিগো আছে। এটাই। আমার কাছে মনে হয়, এটা আমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমি দলের জন্য খেলি।”