সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা যেন পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়, আমরাও সেটাই চাই।
বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
চলমান আন্দোলনের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা বলেছে যে, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। আমরাও চাই তারা পড়ার টেবিলে ফিরুক।
“তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারও সমাধানই করতে চায়।”
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা আলোচনার পথে যেতে চায়। সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনার দরজা খোলা আছে।
চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ভাষা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এর মধ্য দিয়ে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা-সন্ত্রাস হচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এই সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য একই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সাথে জড়িত নয়, এখানে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা আরো বলেছে, চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না।
“আমরা মনে করি, যেহেতু আন্দোলনের ভিতরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উপাদানগুলো দৃশ্যমান, কাজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন এবং আমরা মনে করি তৃতীয় পক্ষের অসাধু সুযোগ নেয়ার অপচেষ্টা রোধের জন্য আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চাই, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য অনুযায়ী পড়ার টেবিলে ফিরতে পারে।”