তাপপ্রবাহের মধ্যে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশের মহেঞ্জোদোরো শহরে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে সিন্ধু নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল যে সভ্যতা, মহেঞ্জোদোরো ছিল সেই সভ্যতার অন্যতম বৃহৎ নগরী। এখন এটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে পরিচিত।
এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তাপমাত্রা রবিবার ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শহীদ আব্বাস।
পাকিস্তানের কোথাও এই গ্রীষ্মে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে দেশটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখেছিল ২০১৭ সালে। বেলুচিস্তানের তুরবত শহরে সে বছরের গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আর ১৪ বছর আগে ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ৫৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখেছিল মহেঞ্জোদারোর মানুষ।
পাকিস্তানের ছোট শহর মহেঞ্জোদারোতে গরমকালে তাপমাত্রা বেশিই থাকে। শীতকালে ঠাণ্ডা খুব বেশি পড়ে না। বৃষ্টিও হয় কম।
তাপমাত্রা যেমনই থাক না কেন, মহেঞ্জোদারোর বেকারি, ফলের দোকান, সবজির দোকান থেকে শুরু করে চা, মেকানিক, ইলেকট্রনিক পণ্য মেরামতের দোকানগুলোতে সবসময়ই ক্রেতাদের ভিড় থাকে।
তবে এবার শহরটিতে গরম এতটাই বেশি যে, ক্রেতারা এসব দোকানে পা ফেলছেন না বলা চলে।
মহেঞ্জোদারোর এক চায়ের দোকানের মালিক ওয়াজিদ আলি বলেন, “এত বেশি গরম যে, আমার টি স্টলে কেউ আসছেন না। স্টলে অলস বসে থাকি। কাস্টমারের দেখা পাই না।”
গত এক মাস ধরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে এশিয়ার মানুষ। আর এজন্য মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন জলবায়ুবিজ্ঞানীরা।