পুরনো বিতর্ক পেছনে ফেলে ‘নতুন’ বিপিএল আয়োজনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাঠ ও মাঠের বাইরের বিতর্ক যদিও থামাতে পারেনি, তবে দর্শক উপস্থিতিতে এবারের ১১তম বিপিএল জমিয়ে দিয়েছে। সেটিরই ছাপ বিসিবির টিকিট বিক্রিতে। বিপিএলে টিকিট বিক্রিতে এবারের আসর নতুন রেকর্ড গড়েছে বলে দাবি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের।
প্রথমবারের মতো অনলাইনে টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিবি। শুরুতে প্রযুক্তির সাহায্যে টিকিট বিক্রিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। টিকিট না পেয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছিল। বিপিএল বিতর্কে জড়ালেও দশর্কের খেলা দেখার আগ্রহ কমেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, এবার টিকিট বিক্রি থেকে বিসিবি আয় করেছে সোয়া ১৩ কোটি টাকা।
এবার ছিল বিপিএলের ১১তম আসর। আগের ১০ আসরের সঙ্গে তুলনা দাঁড় করিয়ে ফারুক জানিয়েছেন, টিকিট বিক্রি থেকে তারা কতটা সফল। এবারের আগে সব আসর মিলিয়ে যেখানে ১৫ কোটি টাকা পেয়েছিল টিকিট থেকে, সেখানে এক আসরেই প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ফারুকের বিসিবির প্রথম বিপিএল।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় টিকিট বিক্রি থেকে অভাবনীয় আয়ের কথা ভাগাভাগি করেছেন ফারুক, “এবার আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রি করেছি। পুরো টিকিট না হলেও পরীক্ষামূলকভাবে টিকিট বিক্রি করেছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এবারের বিপিএলে আমরা ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছি। এখানে ছোট্ট একটা তুলনা যদি আমরা দেই- এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গত ১০ আসরে যে টিকিট বিক্রি করেছে, সেটা ১৫ কোটি টাকার মতো। সেটি বিবেচনা করলে আমরা এক বছরেই এটার কাছাকাছি চলে গিয়েছি।”
টিকিট থেকে বিসিবির আয় হয়েছে আরও ১ কোটি টাকা। সেটা টিকিট বিক্রির স্বত্ব থেকে। তিন বছরের জন্য স্বত্ব বিক্রি করেছে ৩ কোটি টাকায়। প্রত্যেক বছর পাবে ১ কোটি টাকা করে। সেই হিসাবে এবারের আসর থেকে বিসিবি পেয়েছে সোয়া ১৩ কোটি টাকা।
ফারুকের ভাষায়, “আপনারা শুনে খুশি হবেন আমরা তিন বছরের চুক্তি করেছি। প্রত্যেক বছরের জন্য ১ কোটি হলে এবার আসলে আমরা টিকিট বিক্রি থেকে আয় করেছি সোয়া ১৩ কোটি টাকার মতো। সুতরাং, এটা বিরাট একটা মাইলফলক।”
বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বারবারই লভ্যাংশ ভাগাভাগি করার কথা বলে আসছেন। কিন্তু বিসিবি একমত হতে পারেনি। এবারের বিপিএল শুরুর আগেও দাবি তুলেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তবে রাজি হননি ফারুক। এখন ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেছেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দাবি ছিল রেভিনিউ শেয়ারিং। কিন্তু আমি তখন তাদের বলেছিলাম, রেভিনিউ কত হবে সেটা যেহেতু আমি জানি না, তাই আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য সুখবর। টিকিট বিক্রি থেকে যে আয় হয়েছে, সেখান থেকে ভালো একটা অংশ তাদের দেওয়ার চেষ্টা করব।”