Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সৈয়দ রেফাতকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের ইতিহাসে বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে পদোন্নতি পেয়ে সরাসরি প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হোসেনসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা সবাই পদত্যাগ করার পর এই পদে তাকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন শনিবার রাতে জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

রবিবার বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এরপর দুপুরে তিনি সুপ্রিম কোর্টে ফেরেন। তখন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল, বিচারপতি মামনুন রহমান, বিচারপতি নাইমা হায়দার।

সৈয়দ রেফাত প্রয়াত ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ছেলে। এক সময়ের অ্যাটর্নি জেনারেল ইশতিয়াক ১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ছিলেন। বিচারপতি রেফাতের মা ড. সুফিয়া আহমেদ ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ রেফাত ১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন।

২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান সৈয়দ রেফাত আহমেদ। হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতার তালিকায় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজের পর তৃতীয় জ্যেষ্ঠতম বিচারক ছিলেন তিনি।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারকের পদত্যাগের দাবি তোলে।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে খবর এসেছিল যে আপিল বিভাগের বিচারক মো. আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে তা নিয়ে আপত্তি তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি করার দাবি তোলে।

এরপর রাতে সেই দাবি মেনে নিয়ে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন আসে।

এদিকে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। বিচারপতি আশফারুল পদত্যাগ করেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত