নিকোলাস ওতামেন্দি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কলম্বিয়ার দানিয়েল মুনোসকে। বক্সে মুনোস লুটিয়ে পরলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। এই পেনাল্টির সিদ্ধান্তই মানতে পারছে না আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ হতাশায় আঘাত করেন সম্প্রচারকারী চ্যানেলের একটি ক্যামেরাকে।তার হাতের ছোঁয়ায় লাইভে থাকা ক্যামেরার মুখ চলে যায় অন্যদিকে। নিজের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। আর ম্যাচ শেষে কোচ লিওনেল স্কালোনি একহাত নিলেন রেফারি পিয়েরো মাজাকে।
সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বললেন, ‘‘আপনি কিছু বললে শাস্তি দিতে তৈরিই আছে তারা (ফিফা)। তবু বলব রেফারি ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে।’’
ওতামেন্দি চ্যালেঞ্জ জানালেও সেটা ফাউল ছিল না বলেই মনে করেন স্কালোনি, ‘‘মাঠে একমাত্র খেলোয়াড় ছিল মুনোস (তিনি বক্সে পরে যাওয়াতেই পেনাল্টি দেন রেফারি) যে কিনা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেনি। রেফারি আর ভিএআরের পাঁচ অফিসিয়ালের মনে হয়েছে এটা পেনাল্টি কিন্তু আর কারও মনে হয়নি। সেই পেনাল্টির পর আর খুব বেশি সময় ছিল না।’’
দল হারলেও মার্তিনেজ-আলভারেজদের ইতিবাচক খেলার প্রশংসা করেছেন স্কালোনি, ‘‘আমরা হারতে পছন্দ করি না। তাই কলম্বিয়াকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। নিজেদের সেরাটা দিয়েছি আর জিততেও পারতাম ম্যাচটা। কলম্বিয়ার দারুণ সব ফুটবলার আছে। ওদের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়। তবে আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল যা কাজে লাগাতে পারিনি।’’
ম্যাচটা হয়েছে স্থানীয় সময় তপ্ত দুপুরে। এটাকে অবশ্য অজুহাত দিচ্ছেন না স্কালোনি, ‘‘প্রচন্ড গরম ছিল, এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। তবে চাইলে ম্যাচটা বিকেল ৫-৬টা বা সন্ধ্যা-৭টাতেও হতে পারত।’’
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিয়ান্দ্রো পারেদেসও প্রতিবাদ জানালেন রেফারির সিদ্ধান্তের, ‘‘আমরা জানতাম ওখানে খেলটা সহজ নয়। পেনাল্টির সময় ওতামেন্দির ফাউলটা আমি দেখিনি। তবে আমার সতীর্থরা দেখেছে আর বলেছে ওটা পেনাল্টি ছিল না।’’