Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে রেমাল

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলার নিকট দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোংলার নিকট দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
[publishpress_authors_box]

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল তিন ঘণ্টায় বাংলাদেশ উপকূলের দিকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এগিয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ১০ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে।

রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ১০ ও ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এই তথ্য।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে এসব বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ-চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ-চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে, জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এর পাশাপাশি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

দুটি বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৯টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। সকাল ৬টায় এই দুই বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টির দূরত্ব ছিল যথাক্রমে ৩৩০ কিলোমিটার ও ২৯৫ কিলোমিটার।

অন্যদিকে সকাল ৯টায় রেমাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। সকাল ৬টায় এই দুই বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টির দূরত্ব ছিল যথাক্রমে ৪০০ কিলোমিটার ও ৩৬০ কিলোমিটার।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার সন্ধ্যা অথবা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি (২৪ ঘণ্টায় ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারি বৃষ্টির প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত