Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

রেমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি

রেমালে বিধ্বস্ত হয় উপকূলবর্তী এলাকার অনেক বাড়িঘর। ছবি : বাসস
রেমালে বিধ্বস্ত হয় উপকূলবর্তী এলাকার অনেক বাড়িঘর। ছবি : বাসস
[publishpress_authors_box]

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে ১৬ জনের।  

রবিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

তিনি বলেন, “গত রবিবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় বেশ কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। ২০টি জেলার হিসাব পেয়েছি।

“ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১৬ জনের মৃত্যু হয়। বেশ কিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

আগামী ৯ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলেও জানান মহিববুর রহমান।   

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এজন্য আমরা ৯ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা চূড়ান্ত করব। এরপর এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হবে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা গত কয়েকদিন ধরে দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।

“ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরদিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয়দের খোঁজখবর নিয়েছি।”

এখন পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো-খাদ্যের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন বলেও জানান তিনি। 

সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের বিষয়ে মহিববুর রহমান বলেন, “বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।

“সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনাসহ অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত