ত্রাণ বলতে খাবার নয়, প্রয়োজন ঘর মেরামতের উপকরণ। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সারানো দরকার।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের রেখে যাওয়া ক্ষত সারাতে এসব প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চর আন্ডা গ্রামের জেলে নাসির মিয়া।
রবিবার রাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল এই জেলের ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়েছে। তার বড় ছেলের বসতঘর পুরোটাই ভেঙে পড়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষ ত্রাণ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২শ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৪ লাখ টাকা আর ৫শ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
সমুদ্রতীরবর্তী কলাপাড়া উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তরাও খাবারের চেয়ে বিধ্বস্ত বাড়িঘর মেরামতকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বেশি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে আমার জেলায় তিন লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
রেমালের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পটুয়াখালী সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দের ঘোষণা দিলে সে অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ত্রাণ হিসেবে কেবল শুকনা খাবার দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পিরোজপুর পৌর এলাকার খুমুরিয়ার বাসিন্দা ফসিউল ইসলাম। বলেন, “আমি, আমার বাবা বসতঘরে কখনও পানি উঠতে দেখিনি। রেমালের প্রভাবে এবার হাঁটুপানি ওঠায় ইলেকট্রনিক পণ্যসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমানকে মুঠোফোনে দুবার ফোন দিয়েও উত্তর মেলেনি।
ভোলার দুর্গত এলাকা মনপুরা ঘুরে এসে বুধবার চরফ্যাশন উপজেলার টিভি স্কুল মাঠে সাড়ে ৪০০ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিত কার্যক্রমের কারণে দুর্যোগ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করা গেছে।”
রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই উপজেলার শ্যামনগর, কয়রা, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলার মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজে ত্রাণ বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।