Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

রেমাল : সাগরে পানির উচ্চতা সাড়ে ৩ ফুট বেড়েছে

coxbazar
[publishpress_authors_box]

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি সাগরে বেড়েছে পানির উচ্চতা।

এদিন সকাল থেকে কক্সবাজারের আকাশজুড়ে কখনও রোদ আর কখনও মেঘের খেলা ছিল। তবে দুপুর ১টার পর থেকে বদলে যায় পরিবেশ। এখন সেখানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

তবে সকাল থেকে দমকা বাতাস থাকলেও এখন তা নেই বললেই চলে। রোমলের প্রভাব এখন পুরোপুরিই সাগরে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপ সহকারী আবহাওয়াবিদ তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, সাগরে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে সাড়ে ৩ ফুট বেড়েছে। ফলে সাগর তীরবর্তী এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করবে।

তিনি জানান, রবিবার ভোর ৫টা ৫৮মিনিটে জোয়ার শুরু হয়। দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে জোয়ার পূর্ণ হয়ে ভাটা শুরু। ভাটা পূর্ণ হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে। পরে পূর্ণ জোয়ার হবে রাত ১টায়, তখন সাগর স্বাভাবিক হবে।

রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় সাত জেলায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় ১৬টি জেলা, দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উপকূলে লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা দ্বীপের লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করছি।”

টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, “বিপদ সংকেত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপে পর্যাপ্ত শুকনা খাবার-পানি মজুদ রাখার পাশাপাশি আমাদের মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।”

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলার ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য ৮ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ২ হাজার ২০০ জন কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দুর্যোগকালীন মানুষকে সহায়তার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক জানান, জেলা প্রশাসনের কাছে জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য ৪৮৬ মেট্টিক টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ২৩ বান্ডেল ঢেউটিন, টিনের সঙ্গে গৃহনির্মাণের মজুরির জন্য ৬৯ হাজার নগদ টাকা মজুদ রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত