Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

ট্রাম্পকে গুলি : বাইডেনকে দুষছেন রিপাবলিকানরা 

শনিবার সমাবেশে হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে বলেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট।’
শনিবার সমাবেশে হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে বলেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট।’
[publishpress_authors_box]

পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় উত্তাল দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। এই ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দিকে।

দোষারোপ থেকে রেহাই পাচ্ছে না ডেমোক্র্যাটিক পার্টিপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলোও।       

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টদের হত্যা বা হত্যাচেষ্টার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার ঘটেছে।

১৮৬৫ সালে স্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চনাটক দেখতে গিয়ে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন। সেই প্রথম রক্তাক্ত হয় দেশটির প্রেসিডেন্টের আসন। এরপর তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে।

এ বছরের ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার বাটলার শহরে নির্বাচনী সমাবেশ বক্তব্য রাখছিলেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। বক্তব্য শুরুর একটু পরেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন এক বন্দুকধারী।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে হামলাকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। তার বয়স ২০। তিনি পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা।

নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালে ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্র্যাটিক নেতারা।

হামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, রিপাবলিকানদের মধ্যে ২৩৮ জন এই ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন। ২১ জন ট্রাম্পের সমালোচনাকারীদের দোষারোপ করেছেন।

আর ৩০ জন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের ওপর হামলার উসকানিদাতা হিসেবে সরাসরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করেছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতাকে সবারই নিন্দা জানানো উচিত।

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জরুরি এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেছেন, “আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনও স্থান নেই। এটা অসুস্থতা। আমরা এই ঘটনা ক্ষমা করব না।”

বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও প্রতিপক্ষ ট্রাম্পের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, “ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তার জন্য, তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছে। এছাড়া এই কাণ্ডজ্ঞানহীন হামলায় যারা আহত হয়েছেন এবং প্রভাবিত হয়েছেন, তাদের জন্যও আমরা প্রার্থনা করছি।”

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সরাসরি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দায়ী করেন রিপাবলিকান নেতা মারজোরি টেলর গ্রিন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের বক্তব্যে অবশ্য আশ্বস্ত হননি রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে আছেন সেনেটর জেডি ভ্যান্স।

ট্রাম্পের ওপর হামলার পর এক্সে এক বার্তায় তিনি বলেছেন, “ট্রাম্পের ওপর হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাইডেনের প্রচারের মূল কথা- ট্রাম্প একজন কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট। যেকোনও মূল্যে তাকে ঠেকাতে হবে। এই অবস্থান ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার পথ সুগম করেছে।”

আরেক রিপাবলিকান নেতা ও কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিন অভিযোগ করে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা চায় ট্রাম্প ও সমর্থকরা মরে যাক।

এক টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, “জো বাইডেন দাতাদের বলেছেন, সময় এসেছে ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার। সেটাই কিন্তু হয়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতা বেনি থম্পসনের নেতৃত্বে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ট্রাম্পের সুরক্ষা বাতিল করে বিল উত্থাপন করা হয়েছিল।”

রিপাবলিকান নেতা গ্রিন আরও বলেন, “বাকি জীবন ট্রাম্প যাতে জেলে কাটান, তা নিশ্চিত করতে সবকিছুই করেছে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস। তারা ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের ‍মৃত দেখতে চান। আমরা কিছুই ভুলব না।”

পাশাপাশি এক এক্স বার্তায় এই রিপাবলিকান নেতা বলেন, “আজ ঝরে পড়া প্রতি ফোটা রক্তের জন্য ডেমোক্র্যাট ও সংবাদমাধ্যম দায়ী। বছরের পর বছর ধরে তারা ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের দুষ্ট ব্যক্তি হিসেবে হাজির করে আসছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত