দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জমা পড়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সবগুলোই বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তালুকদার।
ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সোমবার প্রার্থীদের উপস্থিতিতে যাচাই-বাচাই শেষে এই ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সংরক্ষিত আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৪৮ নারীকে মনোনয়ন দিয়েছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন দিয়েছিল দুজনকে।
বিএনপির বর্জন করা এবারের ভোটে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, ১৪ দলীয় জোটে আওয়ামী লীগের দুই শরিক দল জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি ও কল্যাণ পার্টি ১টি আসনে জয় পায়। জাতীয় পার্টি জয়ী হয় ১১টি আসনে।
জাতীয় সংসদে মোট আসন সংখ্যা ৩৫০টি। এর মধ্যে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০টি। ৩০০টি আসনে সরাসরি ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও সংরক্ষিত আসনে তা হয় না। সরাসরি ভোটে বিজয়ী দল বা জোটের আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, সংরক্ষিত নারী আসনের মোট সংখ্যাকে (৫০) সংসদের জনপ্রতিনিধিদের মোট সংখ্যা (৩০০) দিয়ে ভাগ করে তার সঙ্গে গুণ করতে হয় কোনও দল বা জোটের প্রাপ্ত আসনকে। এক্ষেত্রে ফল ভগ্নাংশ হলে নিকটতম পূর্ণ সংখ্যা ধরা হয়।
এই হিসাবে দ্বাদশ সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নারী আসনের ৫০টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮টি, জাতীয় পার্টি ২টি ও স্বতন্ত্ররা ১০টি আসন পায়। তবে স্বতন্ত্ররা ১০টি নারী আসনের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ন্যস্ত করায় আওয়ামী লীগ ৪৮ আর জাপা ২টি আসন পাচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমিশনের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “বাছাইয়ে কারও নাম বাদ না পড়লেও বৈধ মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে কেউ চাইলে আপিল করতে পারবেন। তফসিল অনুযায়ী, আপিল নিষ্পত্তির জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারিত রয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। এরপর কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বৈধ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।”