কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি থামছে না, যদিও এতে প্রতি বছর দেশের বড় অঙ্কের অর্থ ক্ষতি হচ্ছে।
দেশের খাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বছর সাধারণ চালের পাশাপাশি সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে ফের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। গত ১০ সেপ্টেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় এবং ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু এরপরও ঘোষণা না দিয়ে ৭ হাজার ৩৮০ কেজি সুগন্ধি চাল বিভিন্ন শুকনো খাবারের একটি চালানের সঙ্গে কন্টেইনারে করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত দল চালানটির জাহাজীকরণ থামিয়ে দেয়। দলটি জানতে পারে, এসব পণ্যের রপ্তানিকারক নারায়ণগঞ্জের রাজ-কামাল এভারবেস্ট করপোরেশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি জাল কাগজপত্র বানিয়ে ওই চালানের মাধ্যমে অর্থ পাচার বা প্রণোদনা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।
রপ্তানির জন্য মুড়ি, বিস্কুট, সেমাইসহ বিভিন্ন শুকনো খাবারের একটি চালান সাড়ে ১৬ হাজার কেজির কন্টেইনারে করে নেওয়া হয় ঢাকার কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি)। সেই চালানেই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছিল ৭ হাজার ৩৮০ কেজি কাটারিভোগ চাল। গত ২৪ জানুয়ারি সেই চালানের কায়িক পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয় কমলাপুরের কাস্টমস। সেই ছাড়পত্রে কোনও অনিয়ম মেলেনি বা ঘোষণার বাড়তিও কোনও পণ্যের সন্ধান পায়নি তারা।
অনুমতি পেয়ে চালানটি কন্টেইনারে সিলগালা হয়েই দুদিন পর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমসের নতুন করে ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়নি, আর তারা তল্লাশিও করেনি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে সেটি জাহাজে তুলে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ার শিডিউল ছিল। কিন্তু তার আগেই শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত দলের কাছে খবর আসে, চালানটিতে নিষিদ্ধ পণ্য যাচ্ছিল। শুল্ক গোয়েন্দা দল গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে চালানটির জাহাজীকরণ থামিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে খবর দেওয়া হয় রাজ-কামাল এভারবেস্ট করপোরেশন লিমিটেড ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিটন ট্রেড ইন্টারন্যাশনালকে। কিন্তু তারা গড়িমসি করছিল। কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারককে চিঠি দেওয়া হয়।
কিন্তু তখনও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, রপ্তানিকারক গড়িমসি করলে সন্দেহ হয় শুল্ক গোয়েন্দা দলের। দুই সপ্তাহ অপেক্ষার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাধ্য হয়েই তাদের অনুপস্থিতিতেই চট্টগ্রাম বন্দর, বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে কন্টেইনারটি খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষায় চালানটিতে রপ্তানি নিষিদ্ধ ৭ হাজার ৩৮০ কেজি কাটারিভোগ জাতের সুগন্ধি চাল ধরা পড়ে। চালানটিতে আরও ছিল প্যাকেটজাত মুড়ি, বিস্কুট, সেমাই, ময়দা, সরিষার তেল, ভাজা ডালসহ ১৫ ধরনের পণ্য। এর মধ্যেই লুকিয়ে নেওয়া হচ্ছিল এই সুগন্ধি চাল। ধরা পড়ে ঘোষিত ১৫ ধরনের পণ্যের ওজনে কম থাকার বিষয়টি। তবে তখনও ধরা পড়েনি পুরো চালানের কাগজপত্র জালের বিষয়টি।
রপ্তানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ থাকলেও সরকারের অনুমতি নিয়ে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে সুগন্ধি চাল রপ্তানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর কৃষি সচিবের সভাপতিত্বে ‘কৃষিপণ্য রপ্তানির সমস্যা ও সমাধানের কৌশল’ সংক্রান্ত সভায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল বা সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হতো, যার বেশিরভাগই যেত সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে।
একাধিক শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ। ফলে স্বাভাবিকভাবে সেই চাল জাহাজীকরণের সুযোগ নেই। কাস্টমসেরও ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু সিঅ্যান্ডএফ ও কাস্টমসের যোগসাজশে সেই কাজটিই ঘটেছে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিতে। কারণ ১ শতাংশ কন্টেইনার পরীক্ষা করলেই বিষয়টি ধরা পড়তো। কারণ ১৫ হাজার কেজি ঘোষিত চালানের অর্ধেকই ছিল চাল, ফলে এখানে মিলেমিশে কাজটি ঘটতে পারে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, গোপন তথ্য না থাকলে যেকোনো রপ্তানি চালানের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয় না। ১ শতাংশ চালানের কায়িক কাস্টমস সঠিকভাবে করা হয় না। সেই সুযোগটি নেয় চোরাকারবারীরা। এই চালানে যদি ধরা না পড়তো, তখন তো সেই ব্যবসায়ীই হৈ চৈ ফেলে দিতেন। রপ্তানিতে হয়রানির অভিযোগ তুলতো তারা।
কমলাপুর আইসিডি থেকে মুড়ি, বিস্কুট, সেমাই রপ্তানির আড়ালে সুগন্ধি চালের চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানোর অনুমতি কমলাপুরের কাস্টমস। পাঠানোর আগে যথারীতি কায়িক পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয় তারা। সিলগালাও করা হয় কাস্টমসের উপস্থিতিতে। আর সেই বিলে ২৪ জানুয়ারি কায়িক পরীক্ষা করেন রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী আখতারুজ্জামান। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে তাতে স্বাক্ষর করেন লিটন ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. নাজিম হাওলাদার।
তবে চট্টগ্রামে কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষায় ১৫টি আইটেমের মধ্যে তিনটি পণ্যে ওজন কম পাওয়া যায়। রপ্তানি নিষিদ্ধ সুগন্ধি চালও মেলে, যার ঘোষণাই দেননি রপ্তানিকারক।
ধারণা করা হচ্ছে, রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই ঘটনা ঘটেছে।
কমলাপুরে করা কায়িক পরীক্ষার প্রতিবেদন সকাল সন্ধ্যার কাছে এসেছে। সেখানে রপ্তানিকারক যেভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতেই স্বাক্ষর করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তা। কোনও হেরফের হয়নি। ওজনে কম-বেশি হয়নি। সুগন্ধি চালও মেলেনি প্রতিবেদনে।
এ বিষয়ে কথা বলতে কমলাপুর ডিপোতে কর্মরত কাজী আখতারুজ্জামানকে মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে কমলাপুর আইসিডি কাস্টম হাউসের কমিশনার আকবর হোসেনকে কল করা হয়, তিনিও সাড়া দেননি। এরপর তার মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠানো হয়। এতেও তার সাড়া মেলেনি।
ফলে তারা সেই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিয়েছেন কি না- জানা যায়নি।
পরে রপ্তানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মো. নাজিম হাওলাদারকে (যিনি সেই কায়িক পরীক্ষার বিলে স্বাক্ষর করেন) ফোন করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ও প্রশ্ন শুনে তিনি কল কেটে দেন। এরপর আর সাড়া দেননি। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিটন ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক রফিকুল ইসলাম লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও সাড়া দেননি।
কমলাপুরের কায়িক পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা দল তদন্তে নামে। এরইমধ্যে রপ্তানিকারকের পক্ষ থেকে কাস্টমসে চিঠি দিয়ে বলা হয়, চালানের প্যাকিং লিস্ট ভুল ছিল। চালানটি হবে রাজ-কামাল খামার বাড়ি লিমিটেডর নামে এবং সেই নামে নতুন একটি প্যাকিং লিস্ট দেওয়া হয়।
সেই প্যাকিং লিস্ট ধরে তদন্ত কাজ শুরু করে কাস্টমস গোয়েন্দা দল। চালানটির কমার্শিয়াল ইনভয়েস যাচাই করতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে পাঠানো হলে তারা ইমেইলে নিশ্চিত করে রাজ কামাল খামার বাড়ি লিমিটেডর সঙ্গে তাদের কোনও লেনদেন ও কার্যক্রম নেই। এতে নতুন সন্দেহ দানা বাঁধে। পরে বিভিন্ন দপ্তরে কাগজপত্র যাচাইয়ে ধরা পড়ে পুরো চালানে ব্যাংকসহ সব কাগজপত্রই জাল। জাল কাগজপত্র বানিয়ে সেই চালান রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ পাচারের চেষ্টা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিনহাজ উদ্দিন তপন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দুই কারণে এই রপ্তানির ঘটনা ঘটতে পারে। একটি হচ্ছে, নিষিদ্ধ পণ্য রপ্তানি করে বিদেশে অর্থ পাচার এবং আরেকটি সরকারের রপ্তানি প্রণোদনা হাতিয়ে নেওয়া। তার আগেই সেটি ধরেছে কাস্টমস গোয়েন্দা দল। আমরা ধরতে না পারলে কোনও বাধা ছাড়াই চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর হয়েই জাহাজে উঠে যেতো।
“কাগজপত্র, তথ্য-প্রমাণ ঘেঁটে আমাদের মনে হয়েছে রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ যোগসাজশে এই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল বানিয়ে রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্যসহ চালানটি রপ্তানির অপচেষ্টা করেছেন। একইসাথে এই জাল দলিল আবার কাস্টমসে অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছেন।”
“এই ধরনের চেষ্টা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করেছি। অর্থ পাচার তদন্ত করে মানি লন্ডারিং মামলার সুপারিশ করেছি,” যোগ করেন তিনি।
মিনহাজ উদ্দিন তপন জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কমলাপুরের কায়িক পরীক্ষণকারী সেই কাস্টমস কর্মকর্তা কাজী আখতারুজ্জামান চিঠি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে। একইসঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিটন ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অত্যন্ত কৌশল করেই চালানে নিষিদ্ধ চাল ঢুকিয়ে রপ্তানির চেষ্টা করে রপ্তানিকারক ও তার মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
চালানটিতে রপ্তানিকারক ঘোষণা দেয় ১৫ হাজার ৩৯১ কেজির, বিপরীতে পাওয়া যায় ১৬ হাজার ১০৯ কেজি। অর্থাৎ মোট ওজনে খুব বেশি হেরফের হয়নি। কিন্তু ১৫ পণ্যের মধ্যে তিন ধরনের ঘোষণার চেয়ে ৬ হাজার ৬৬২ কেজি পণ্য কম পাওয়া যায়। আর ৭ হাজার ৩৮০ কেজি কাটারিভোগ চাল দিয়ে সেই কম পণ্যের স্থান পূরণ করা হয়, যাতে সহজে ধরা না পড়ে।
এনবিআরের কাস্টমস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আমদানি-রপ্তানিকারকের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। ১০ হাজার নিবন্ধিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ৩ হাজার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিঅ্যান্ডএফ অনুমোদন পেয়েছে এনবিআর।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্দেশনা দিয়েছিল, ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম’ সফটওয়্যারের ডেটাবেজে যেসব আমদানি-রপ্তানিকারক সিএন্ডএফ এজেন্টের তথ্য যুক্ত করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।
এনবিআর বলেছিল, ডেটাবেজে তথ্য থাকলে জানা যাবে কোন আমদানিকারকের কোন সিএন্ডএফ এজেন্ট— তা সহজে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শনাক্ত করতে পারবে। ফলে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি বা বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে থামছে না মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শুল্ক ও কর ফাঁকির মোট অর্থের পরিমাণ দেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। কর ফাঁকি দিতে ও দেশ থেকে অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করায় গড়ে প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।