হঠাৎ করেই বেড়েছে চালের দাম। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার চালের বাজারে নেমেছে তদারকি দল। রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা বাজারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে একটি দল তদারকি কার্যক্রম চালায়।
তদারকি দলের সদস্যরা ব্যবসায়ীদের কাগজপত্র ও চাল ক্রয়ের রশিদ দেখেন এবং কোন চাল কত টাকায় কেনা এবং কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার খোঁজ-খবর নেন।
তদারকি শেষে জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীরা মূলত মিল মালিক বা পাইকারি বিক্রেতাদের কথা বলছে। কেউ কেউ বলছে ধানের দাম অন্য সময়ের চেয়ে বেশি, তাই মিল মালিকরা বেশি দামে বিক্রি করছে। তবে, আমরা চালের দাম আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। মিল মালিক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে মিটিং হচ্ছে, দাম কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
খিলগাঁও তালতলা বাজারের শরীয়তপুর রাইস শপের মালিক মো. আজমল হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, চালের দাম তো বাড়া শুরু করেছিল ভোটের দুই-তিন দিন আগে থেকেই। তখন কেউ কোনও কথা বলেনি। এখন তদারকি শুরু হয়েছে, তাই কিছুদিন চালের দাম বাড়বে না।
এ রকম হচ্ছে অনেক দিন ধরে। চালের দাম হঠাৎ করেই ৪-৫ টাকা কেজিতে বেড়ে যায়, তারপর তদারকি হয়, কিছুদিন বাড়ে না। কিন্তু যেই দামটা বাড়ানো হয় তা আর কমে না।
বাজার ঘুরে যা দেখা যায়, সব চালের দামই কেজিতে ৫-৭ টাকা করে বেড়েছে। স্পেশাল মিনিকেট ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা, স্পেশাল আটাশ ৬০ টাকা, আটাশ মিনিকেট ৫৮ টাকা, স্পেশাল নাজির ৭৮ টাকা, নাজির ৭২ টাকা, পারিজা ৫৪ টাকা, আতপ ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মোটা চাল যা নির্বাচনের আগেও ৪৪-৪৬ টাকা কেনা যেত, তা এখন তাদের কিনতে হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে আল্লাহর দান রাইস স্টোরের মালিক মো. জানে আলম বলেন, “দাম কেন বাড়ে– আড়তে জিজ্ঞেস করলে বলে মিল মালিকরা বাড়াইছে। আসলে আমাদের তদারকি না করে তদারকি করতে হবে মিল মালিক আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এরা একসাথে চালের দাম বাড়ায়।”
তিনি বলেন, “করপোরেট মালিকরা চাল কিনে মজুদ করে রাখে। তারপর ধীরে ধীরে প্যাকেটে চাল ছাড়ে। এরা এত চাল মজুদ করে যে বাজারে চাল কমে যায়, তারপর তারা ইচ্ছামত দাম তৈরি করে। কৃষকও দাম পায় না, আমরাও পাই না তার ওপর ক্রেতাদেরও অনেক টাকা দিয়ে চাল কিনতে হয়।”
