নাটকই হল আইপিএলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের রায়ান রিকেলটন। জিশান আনসারির বল আকাশে তুলে দিয়েছিলেন তিনি যা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা প্যাট কামিন্সের হাতে যায়। ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি কামিন্স।
আউট হয়ে ডাগআউটের দিকে হাঁটা শুরু করেন রিকেলটন। নাটকের শুরু এরপর। আম্পায়ার অপেক্ষা করতে বললেন রিকেলটনকে। রিপ্লেতে দেখা গেল, রিকেলটন যখন শট নিয়েছেন তখন উইকেটরক্ষক হাইনরিখ ক্লাসেনের গ্লাভস ছিল উইকেটের সামনে।
ক্রিকেটের আইন হচ্ছে, ব্যাটার শট নেওয়ার আগে পর্যন্ত উইকেটরক্ষককে গ্লাভস উইকেটের পিছনে রাখতে হবে। বল মারার পর তিনি গ্লাভস সামনে আনতে পারেন। ক্লাসেনের গ্লাভস বল মারার আগেই উইকেটের সামনে থাকায় নো-বল ডাকেন আম্পায়ার। বেঁচে যান রিকেলটন।
২২ রানে জীবন পাওয়া রিকেলটন ফেরেন ৩১ করে। হায়দরাবাদের ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জ ১১ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় মুম্বাই। ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ২৬ বলে ৩৬ করে ম্যাচ সেরা হন উইল জ্যাকস।
হায়দরাবাদের হয়ে কোন ছক্কা ছাড়া ট্রাভিস হেড ২৯ বলে ২৮ আর অভিষেক শর্মা করেন ২৮ বলে ৪০। তারা ছক্কা না পাওয়ায় রানের গতি কমে যায় হায়দরাবাদের। তবে এসবের চেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রিকেলটনের আউট হয়েও বেঁচে যাওয়া নিয়ে। ম্যাচ শেষে এই আইনের বদল চাইলেন ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘কিপারের গ্লাভস স্টাম্পের সামনে চলে আসলে ডেড বল ডেকে কিপারকে সতর্ক করা উচিত। এটা নো বল আর ফ্রি হিট হতে পারে না। বোলারের কী করার আছে এখানে?’’