জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার রামপুরার ডেলটা হেলথ কেয়ার নামের একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশাচালক মো. ইসমাইলের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই রিকশাচালক হত্যার ঘটনায় শুক্রবার বিকালে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে এক চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে আটক করে হাতিরঝিল থানার পুলিশ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক হিরণ মোল্লা ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন- ডেলটা হেল থকেয়ারের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদি বিন শামস, মার্কেটিং অফিসার হাসান মিয়া, মেইনটেন্যান্সের বোরহান উদ্দিন, সিকিউরিটি গার্ড ইসমাঈল ও নাজিম উদ্দিন।
সেই আবেদনে বলা হয়, ভিকটিম ইসমাইল ঘটনার দিন ১৯ জুলাই বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রামপুরার ডেলটা হেলথ কেয়ারের প্রবেশ পথের সিঁড়িতে পড়ে ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে গেলেও তাকে কোনও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে তিনি বিনা চিকিৎসায় সেখানে মারা যান।
এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার পুলিশ গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছ, আসামিরা ঘটনার সময় ডেলটা হেলথ কেয়ারে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তারা ইসমাইলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেননি।
রিকশাচালকের মৃত্যুর জন্য আসামিদের অবহেলা ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানার কথা বলছে পুলিশ।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। শনিবার সেই আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইসমাইল আলী গুলিবিদ্ধ হন। মামলার আসামিদের অস্ত্রের মহড়ার কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি। স্ত্রী লাকি বেগম হুমকির কারণে লাশটা পোস্ট মর্টেম করতে পারেননি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লাকি বেগম হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।