Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

রিকশাচালককে গুলি ছিল আধিপত্য বিস্তারের মহড়ার অংশ : ডিবি

ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশাচালকের পায়ে গুলির ঘটনায় আরও ছয়জন গ্রেপ্তার।
ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশাচালকের পায়ে গুলির ঘটনায় আরও ছয়জন গ্রেপ্তার।
[publishpress_authors_box]

ঢাকার ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশাচালকের পায়ে গুলির ঘটনায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

তারা হলেন- রকিব হোসেন মুন্না (৩২), শারিকুল ইসলাম খান (৪৫), আজিম পাটোয়ারী (৩৪), মাহবুব খান (৩৫), শরীফ খান (৩৩) ও ও সোহরাব খান (৩৩)।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বলছে, রিকশাচালককে গুলির ঘটনায় করা মামলা ছায়া তদন্তে নেমে শনিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সেসময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি করে বিদেশি রিভলবার ও শর্টগান, একটি করে ভাঙা রিভলবার ও ৯এমএম পিস্তল, ৭৫ রাউন্ড গুলি, দুটি কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, পাঁচটি পুরনো ম্যাগাজিন, ৪০ গ্রাম গান পাউডার ও ৬০টি বিভিন্ন অস্ত্রের যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।

গত ১৮ মার্চের এ ঘটনার সময় গ্রেপ্তার করা হয় ৩৫ বছর বয়সী রাশেদুজ্জামান খান রাজুকে। রবিবার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযান সম্পর্কে জানানো হয়।

ডিএমপির ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, তারা তুচ্ছ কারণে অস্ত্রের মহড়া ও গোলাগুলির কথা স্বীকার করেছে। এর কারণ একটাই- এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অবৈধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ।

হারুন অর রশীদ বলেন, ১৮ মার্চ জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলি হয়। রাজু ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তার সহযোগী মুন্না রিকশাচালক রুবেলের ডান পায়ে গুলি করেন। ঘটনার সময় রাজুকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে অস্ত্র উদ্ধার করতে মাঠে নামে ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগ। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, মাদারীপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় জোয়ারসাহারার খাঁ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রাজুর পারিবারিক কবরস্থানের পাশের বাথরুম থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ভাটারাসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণসহ আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা করেছিল। তাই রিকশার নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে এলাকায় মহড়া চালায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, জোয়ারসাহারা এলাকায় জমি কেনা-বেচা, ভবন নির্মাণ, টেন্ডারবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রিকশাচালক রুবেলের ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করে। সবুজবাগ থানা এলাকায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানেও ছয়জনকে গ্রেপ্তার, পাঁচটি অস্ত্র ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত