বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলন শিগগিরই আরও বেগবান হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে ডান ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো মিলে সরকার হঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এটা বড় অর্জন।
বুধবার দুপুরে সরকার পরিবর্তনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকা অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের এরই মধ্যে অনেক অর্জন হয়েছে। আমাদের একেকজনের একেক চিন্তা, কেউ বাম চিন্তার, কেউ ডান চিন্তার আবার কেউ অতি বাম। সবচেয়ে বড় অর্জন হলো, সবগুলোকে মিলিয়ে আমরা আন্দোলনে একমত হয়েছি।”
চলমান সেই আন্দোলন শিগগিরই আরও বেগবান হবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্য ‘একাট্টা’ রয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সমস্ত রাজনৈতিকগুলো আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ দফা দিয়েছি, সেই ৩১ দফায় এদেশের প্রত্যেক মানুষের কথা বলা আছে, রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের কথা বলা আছে, অর্থনীতি কাঠামো পরিবর্তনের কথা বলা আছে। এখন এই ৩১ দফা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
জনগণ এই সরকারকে আর চায় না দাবি করে তিনি বলেন, এই ইচ্ছাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশের কোনও রাজনৈতিক দলই সরকারের পক্ষে নেই বলেও দাবি বিএনপির এই শীর্ষ নেতার।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এই মতবিনিময়ে যুগপৎ আন্দোলনে ঐক্য সৃষ্টিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের ভূমিকার প্রশংসা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “এখন আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই সরকার। যারা আমাদের সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
“এই সরকারকে সরিয়ে আমরা জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকবে, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো থাকবে। আমাদের লক্ষ্য একটাই এই সরকারকে সরাতে হবে।”
দেশের ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব’ রক্ষার এই লড়াইয়ে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হাকিম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আশরাফ আলী আখন্দ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নূরুল হক নূর, অপর অংশের মিয়া মশিউজ্জামান, ভাসানী অনুসারি পরিষদের বাবুল বিশ্বাস, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের(মার্কসবাদী-লেলিনবাদী) হারুন চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নিশিখা জামালীসহ অন্যরা।