প্রথম ম্যাচে ২০৬ রানের স্কোরেও ভয় পায়রি বাংলাদেশ। হেরেছে কেবল ৩ রানে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৫ তাড়া করে জিতেছে সহজে।
সিরিজ জিততে হলে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের বিকল্প ছিল না। শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানে আটকে আশাও জাগিয়েছিলেন বোলাররা। কিন্তু ম্যাচটা ২৮ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। নুয়ান তুশারার হ্যাটট্রিকে শুরুতে যেভাবে পিছিয়ে পড়ে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আর।
ম্যাচ শেষে তাই তুশারার ওভারটা নিয়ে আক্ষেপ ঝড়ল বাংলাদেশি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে। তার কাছে প্রথম প্রশ্নই ছিল, ‘‘একটা ওভারেই ম্যাচটা ঘুরে গেছে বলে মনে হয়’’।
দ্বিতীয়বার না ভেবে শান্তর উত্তর, ‘‘আমারও তাই মনে হচ্ছে। খুবই ভালো ওভার করেছে আমার মনে হয়। বোলারটাকে ক্রেডিট দিতেই হবে। হ্যাঁ, ঐ একটা ওভারে আমরা পিছিয়ে গেছি। ঐ ওভারটা যদি আমরা আরেকটু বেটার খেলতে পারতাম বা নতুন বলটা ভালোভাবে সামলাতে পারতাম, তাহলে খেলাটা অন্যরকমও হতে পারত।’’
পাথিরানা ইনজুরিতে পড়ায় সুযোগ পেয়েছেন তুশারা। তার বোলিং নিয়ে আগে থেকে কোন ধারণা ছিল কিনা? জানতে চাইলে শান্ত বললেন,‘‘আমরা ওর বলের ভিডিও দেখেছি। ওর বলে সুইং আছে কিন্তু বাউন্স নেই। অনেক নিচু হয়ে যায়। অ্যাকশনটা কিছুটা আলাদা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনাকে সব ধরনের বলের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। সে দারুণ বোলিং করেছে। বিশেষ করে সেরকম অ্যাকশনে বল অনেক সুইং করছিল। তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে ‘’
রিশাদ হোসেন ৭ ছক্কা মেরে গড়েছেন নতুন ইতিহাস। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এক ইনিংসে এটাই সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। রিশাদের ব্যাটিংকে বাড়তি পাওনা মনে করছেন শান্ত, ‘‘আমরা এখন ৬জন ব্যাটার নিয়ে খেলি। একজন অলরাউন্ডার থাকে। রিশাদের ব্যাটিং সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে আমাদের জন্য।’’
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম দুই ম্যাচে রান দিয়েছিলেন ৪২ করে। শেষ ম্যাচে দিলেন ৪৭। সিরিজে তার উইকেট কেবল ২টি। এটা শুধু এই সিরিজই নয়, অনেক দিন মোস্তাফিজ নিজের চেনা ছন্দে নেই। তাহলে কীভাবে দিনের পর দিন একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন এই পেসার?
নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য পাশে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাফিজের, ‘‘এই দলে তো কেউই অটোচয়েজ না। আমি জানি না কারা অটোচয়েজ বানায় বা কিছু। কেউই অটোচয়েজ না। আমার মনে হয় মোস্তাফিজ দলের সবচেয়ে কঠিন ওভারগুলা করে। প্রতি ম্যাচে যে ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ যখন সেট ব্যাটার, তখন সে বোলিং করে। স্বাভাবিকভাবে ও রান দিবে। ও কিন্তু উইকেটও নিচ্ছে। হ্যাঁ শুরুটা যেভাবে করেছিল সেখান থেকে একটু উনিশ-বিশ হচ্ছে। তাকে নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কোনো প্লেয়ারকে নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করছি না। তো খুব বেশি চিন্তিত না মোস্তাফিজকে নিয়ে।’’
এই দলে সাইফউদ্দিন যোগ হলে ভারসাম্য বাড়বে কিনা, এ নিয়ে শান্ত জানালেন, ‘‘আলাদা কোনো বোলার নিয়ে আমরা চিন্তিত না। দল হিসেবে আমরা কত ভালো বোলিং করছি। প্রতিপক্ষকে কত রানে আটকাতে পারছি এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। সাইফউদ্দিন ভালো করেছে। বড় একটা চোট থেকে এসেছে ওকে যদি আমরা আরেকটু সময় দেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে নির্বাচকরা চায় আমার মনে হয় অবশ্যই দলের সাথে যুক্ত হবে।’’